প্রায়
১৩ কোটি সিমের মধ্যে এক কোটি সিমের তথ্য সরকারের হাতে রয়েছে জানিয়ে ডাক ও
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ৭৫ শতাংশ সিমই সঠিকভাবে
নিবন্ধিত নয়। এছাড়া সিমের নিবন্ধন যাচাই করতে গিয়ে একটি ভুয়া জাতীয়
পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম তোলার নজির পাওয়া গেছে বলে
জানিয়েছেন তিনি। আজ দুপুরে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহী
(সিইও), নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, এনটিএমসি ও
বিটিআরসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান
তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় এক কোটি গ্রাহকের নিবন্ধন
যাচাই করা হয়েছে। এর মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার
৬৮০টি। তিনি বলেন, গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত অপারেটররা গ্রাহকদের যে তথ্য
আমাদের দিয়েছে তা খুবই অপর্যাপ্ত। সব অপারেটর মিলিয়ে প্রায় ১৩ কোটি সিম
আছে। এর মধ্যে মাত্র ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ সিমের তথ্য মিলেছে। প্রতিমন্ত্রীর
দেয়া তথ্য অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে গ্রামীণফোন প্রায় পাঁচ কোটি
গ্রাহকের মধ্যে মাত্র ২২ লাখ, এয়ারটেল ১৪ লাখ চার হাজার ৯৩৮, বাংলালিংক ২৩
লাখ ৫৫ হাজার, সিটিসেল ৪ লাখ ১৪ হাজার, রবি ১৮ লাখ এবং রাষ্ট্রায়াত্ত
প্রতিষ্ঠান টেলিটক ১৬ লাখ সিম গ্রাহকের তথ্য দিয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ভুয়া এনআইডি দিয়ে সিম তোলা এবং এক এনআইডি
দেখিয়ে বহু সিম কেনার আরও বেশ কিছু ঘটনা নিবন্ধন যাচাই করতে গিয়ে ধরা
পড়েছে। তিনটি এনআইডি পাওয়া গেছে, যেগুলোর বিপরীতে ১১ হাজার ৮৬৬, ১১ হাজার
৩২৮ ও ৬ হাজার ১৭৯টি সিমের নিবন্ধন হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাস থেকে
বায়োমেট্রিক ডেটা নিয়ে সিম নিবন্ধনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে
উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি গ্রাহকদের জন্য সতর্কবার্তা। সিম
সঠিকভাবে নিবন্ধন করতে হবে। ডিসেম্বর থেকে সব অপারেটর এ পদ্ধতিতে চলে যাবে।
Comments[ 0 ]
Post a Comment