উপজেলার ৮০ বছরের বৃদ্ধ মহিলা নুরুজ্জাহান
তার পুত্র ফরিদুল আলম খুনের সাথে জড়িত ঘাতকদের বাঁচাতে বিশাল অঙ্কের মিশন
নিয়ে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ তাকেসহ তার পরিবারের ওপর অমানুষিক নির্যাতনের
অভিযোগ করেন। গতকাল শুক্রবার কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি
এ অভিযোগ করেন। এ সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তার সাথে উপস্থিত ছিলেন।
বড়ঘোপের মৃত হাজী নজির আহমদ প্রকাশ ডবল হাজীর স্ত্রী অভিযোগ করেন আমার নিহত
পুত্র ফরিদুল আলম’র সাথে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ডেজির দাম্পত্য কলহ ছিল।
প্রায় সময় তার স্ত্রী ও পুত্র ওয়াহিদুল আলম রিয়াদ আমার পুত্রকে নির্মমভাবে
নির্যাতন করত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮জুন তারা আমার পুত্রকে পরিকল্পিতভাবে
খুন করে গলায় রশি বেঁধে তার শয়ন কক্ষের জানালার সাথে ঝুলিয়ে রেখে
আত্মহত্যার প্ররোচনা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালায়। ওইদিন থানা পুলিশ আমার
পুত্রকে উদ্ধারকালে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও
গন্যমান্যরা এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত খুন বলে মন্তব্য করেন। এ ঘটনায়
তিনি পুত্র খুনের দায়ে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ডেজি ও তার পুত্র ওয়াহিদুল
আলম রিয়াদকে আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু থানা পুলিশ তার এ
এজারটি গ্রহন না করে তার অপর নাতী তৌহিদুল আলম’র দায়েরকরা সম্পূর্ণ মিথ্যা
এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন বলে অভিযোগ করেন। যে মামলায় তাকেসহ তার
নিরাপরাধ ব্যবসায়ি পুত্র মাহবুবুল আলম, তার স্ত্রী আয়েশা আখতার, আলমগীর,
ইসকান্দার মির্জাকে আসামী করা হয়েছে বলে দাবী করেন। অনতিবিলম্বে ওই জঘন্য
মিথ্যা মামলাটি বাতিল করে তার এজাহারটি মামলা হিবেবে রেকর্ড করে আসল
খুনিদের বিচারের কাটগড়ায় হাজির করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী
জানান নুরুজ্জাহান।
Comments[ 0 ]
Post a Comment