
ইউরোপীয়
ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা আজ বুধবার শরণার্থী সংকট নিয়ে একটি জরুরি সম্মেলন
করবেন। এক লাখ ২০ হাজার শরণার্থীকে ভাগাভাগি করে নিতে একটি বিতর্কিত
চুক্তিতে ইইউ মন্ত্রীরা সম্মত হওয়ার একদিন পর এ সম্মেলন হচ্ছে।
ইইউ’র
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা গতকাল মঙ্গলবার ব্রাসেলসে চুক্তির ওপর ভোট দেন। এ
চুক্তির আওতায় ইইউভুক্ত দেশগুলোকে অবশ্যই গ্রিস ও ইতালির মতো সম্মুখসারির
দেশগুলোতে আসা শরণার্থীদেরকে কোটার ভিত্তিতে গ্রহণ করতে হবে।
গতকাল
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে চুক্তিটি পাস হয়। তবে
সর্বসম্মতিক্রমে এটা গৃহীত হয়নি। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো থেকে ব্যাপক
বিরোধিতা করা হয়েছে।
রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। রোমানিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম ইউরোপ বৃহত্তম শরণার্থী সঙ্কটের মুখে পড়েছে।
লুক্সেমবার্গের
পররাষ্ট্র মন্ত্রী জ্যাঁ অ্যাসেলবর্ন বলেন, বিরোধিতা সত্ত্বেও পরিকল্পনা
গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ এখন ‘জরুরি পরিস্থিতি’ বিরাজ করছে। বর্তমানে ইইউ’র
সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে লুক্সেমবার্গ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা না করলে ইউরোপ আরো বিভক্ত হয়ে যেত।’
ভোটাভুটির
পর চেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিলান শোভানেক এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘সাধারণ
বোধবুদ্ধি আজ হারিয়ে গেল। আমরা শিগগিরই টের পাব যে রাজাদের জন্য আর কোনো
বস্ত্র নেই।’
আর স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো বলেন, প্রস্তাব গ্রহণ করার চেয়ে ইইউ’র আইন ভাঙার জন্য তিনি প্রস্তুত।
বুধবারের
জরুরি সম্মেলনে ইইউ নেতারা শরণার্থীদের ভাগাভাগি করে নেয়ার পরিকল্পনা
অনুমোদনের পাশাপাশি জোটের সীমান্তে আরো কড়াকড়ি আরোপ এবং তুরস্ক, জর্ডান,
লেবানন ও জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত তহবিল প্রদানের ওপর গুরুত্ব
দেবেন।
তবে সামনে অনেক সমস্যাও রয়েছে। কারণ গ্রিস তার সীমান্ত
ব্যবস্থাপনায় বাইরের সাহায্য গ্রহণ করতে চাপের মুখে পড়তে পারে এবং এথেন্সে
নতুন করে সার্বভৌমত্ব উদ্বেগ তৈরি হতে পারে।
ইউরোপ চলতি বছর হাজার হাজার
শরনার্থীর ঢল সামলাচ্ছে। সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ইরিত্রিয়ায় সংঘর্ষ ও
দমনপীড়নের কারণে শরণার্থীদের অনেকে পালিয়ে ইউরোপ যাচ্ছে।
Comments[ 0 ]
Post a Comment