দীর্ঘ
১৮ মাস বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ ছিলো কুতুবদিয়ায়। এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের
বহু লেখালেখির পর অবশেষে পিডিবি কর্তৃপক্ষ মাত্র ২০০ কেভিএ শক্তিসম্পন্ন
আরো একটি পুরাতন জেনারেটর স্থাপন করেছে। ১২ ডিসেম্বর থেকে উপজেলার অফিস
পাড়ায় পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুত সরবরাহ করছে ওই ইঞ্জিন। এদিকে আট বছর গত
হলেও এখনো অন্ধকার থেকে আলোর মূখ দেখাতে পারছেনা স্বপ্নের বায়ু বিদ্যুত।
প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস্ (বায়ুবিদ্যুত) লিমিটেড ওই প্রকল্পের লুলোপ
দৃষ্টি দেখিয়ে সরকার থেকে কোটি কোটি টাকার লোন নিয়ে অন্য ব্যবসায় পূজিঁ
বিনিয়োগ করছে বলে সচেতন মহল অভিযোগ করেন। বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পটি বিগত
২০০৬ সনে স্থাপনের পর থেকে অকার্যকর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে সংস্কারের
নামে নাড়াছড়া করে বিদ্যুত সরবরাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সর্বশেষ
প্রতারণা করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। ৫০০ কেভিএ উৎপাদন ক্ষমতা
সম্পন্ন ক্যামিন্সসহ ৩টি ইঞ্জিন সম্পূর্ণ অকেঝু অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্থানীয়
বিদ্যুত ভবনে। এ অবস্থায় ‘ডেল’ নামের মাত্র ১৩০ কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা
সম্পন্ন আরো একটি পুরাতন ইঞ্জিন বসিয়ে কুতুবদিয়াবসীর ‘কাটা ঘাঁতে নুন ছিটা’
দিয়েছে বলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
বিশেষজ্ঞ মহল জানিয়েছেন, বায়ু,
সোলার ও জেনারেটর সিষ্টেমের বিদ্যুত ফাঁকিজুুঁকি, লুকোচুরি আর সরকারী অর্থ
লোপাটের ফাঁদ। তাই অতসব বাজে সিষ্টেমে অর্থ ব্যয় না করে বাঁশখালীর ছনুয়া
থেকে দ্বীপের উত্তর ধূরুং এলাকা হয়ে (মাত্র এক কি.মিটার কুতুবদিয়া চ্যানেল)
সাব ম্যারিন ক্যাবলের সাহায্যে কম খরচে জাতীয় গ্রীডলাইন বিদ্যুতায়ন করলে
দেশের সম্পদে পরিণত হতে পারে কুতুবদিয়া। অকেঝু ক্যামিন্স ইঞ্জিন মেরামত
(ওভারহলিং) ও লাইন সংস্কার প্রক্রিয়াধীন দাবী করে আগামী এক মাসের মধ্যে
বায়ু বিদ্যুত সরবরাহ হবে বলে পুনর্বার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন আবাসিক
প্রকৌশলী মো.নুরুল আমিন। বহু চেষ্টা করেও লাপাত্তা হয়ে আছেন বায়ু বিদ্যুত
কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান।
Comments[ 0 ]
Post a Comment