ইলিশ
শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ভোলায় জেলেদের জালে ঝাঁকে
ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। গত রোববার পর্যন্ত মাঝারি ও ছোট আকারের ইলিশ শিকার
করেছেন তাঁরা।
মা ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ৯ অক্টোবর।
রাত ১২টায় সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ওই রাতেই জেলেরা মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে
মাছ ধরতে নামেন।
দৌলতখান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝি সিরাজুল ইসলাম
বলেন, অমাবস্যার প্রভাবে মাছ ভালোই পড়ছে জালে। তবে বড় ইলিশ কম। সবই মাঝারি
আকারের। পেটে ডিমও নাই; যেগুলোর আছে, সেগুলো ছোট। এক হালি মাছ এক হাজার
টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের রফিক মাঝি বলেন, নদীতে নেমে দুই জোতে (জোয়ার) ৭৫ হাজার টাকার ইলিশ পেয়েছেন তিনি।
একই
ইউনিয়নের আনন্দবাজারের খালেদ মাঝি, তজুমদ্দিন উপজেলার স্লুইসগেট মাছঘাটের
আলমগীর মাঝি ও সদর উপজেলার বিশ্বরোডের মাথার সফি মাঝি বলেন, মা ইলিশের
প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকে তাঁরা প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩৫
হাজার টাকার মাছ পাচ্ছেন।
সদর উপজেলার মাছঘাট চডারমাথা, বিশ্বরোড,
তুলাতুলি, ভোলা খাল ঘাটে; দৌলতখান উপজেলার পাতার খাল, চৌকিঘাটা, ভবানীপুর;
তজুমদ্দিন উপজেলার স্লুইসগেট, লালমোহনের বাত্তিরখাল ও চরফ্যাশনের সামরাজ
ঘাট ঘুরে এবং খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইলিশের বাজার আবার জমজমাট হয়ে উঠেছে।
পাতারখাল নতুন মাছঘাটের আড়তদার আলমগীর হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞার মৌসুম শেষ হওয়ার পরের দুই দিন ভালোই মাছ ধরা পড়েছে।
ভোলার
দৌলতখানের মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার ও চরফ্যাশন উপজেলার মৎস্য
কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানবলেন, ধরা পড়া মাছের বেশির ভাগ ১১ ইঞ্চি পর্যন্ত
লম্বা আর ৪০০-৬০০ গ্রাম ওজনের।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতিশ কুমার মল্লিক বলেন, তিনি নদীর তীরে গিয়ে দেখেছেন জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাচ্ছেন।
Comments[ 0 ]
Post a Comment