Wednesday, December 24, 2014

কুতুবদিয়ায় কাজের মেয়ে খুন! ৯দিন পর লাশ উদ্ধার -ঘাতক গৃহকত্রীসহ ১ সহযোগি গ্রেপ্তার by হাছান কুতুবী

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় কাজের মেয়ে তহমিনা বেগম প্রকাশ ফেরদৌস (১৫) খুনের ৯দিন পর মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় গর্ত থেকে পলিথিন ও কাঁথা মুড়ানো অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুর রশিদ ও থানা ওসি আলতাফ হোছাইনসহ পুলিশ-আনসার ব্যাটিলিয়ন উদ্ধার অভিযানে ছিলেন। ২২ ডিসেম্বর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বড়ঘোপ মগডেইলের গিয়াস উদ্দিনের ঘাতক স্ত্রী নিলুফা আখতার (৪৫) ও তার সহযোগি চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ৮নম্বর ওয়ার্ডের শাহাদত হোছাইনের পুত্র বেলাল উদ্দিন (৩০) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ২২ ঘন্টার মধ্যে ঘাতকসহ লাশ উদ্ধারে পুলিশী ভূমিকার ভূয়শী প্রশংসা করেন ইউএনওসহ স্থানীয়রা। ঘাতকদের স্বীকারুক্তি মতে লাশ উদ্ধারে বাড়ীর আশ-পাশে ব্যাপক তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দিন ধরে জনতার প্রচন্ড ভীড়সহ আতংক ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। ঘাতক গৃহকত্রী ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় ওই কাজের মেয়েকে হত্যা করে রাত ১১টায় বেলাল উদ্দিন ও স্থানীয় কালু মিয়ার পুত্র ছাবের আহমদ (৩৫) এর সহযোগিতায় পাশের ভরাট পুকুরের কোণায় মাটির নীচে চাঁপা দিয়ে রাখে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। মেয়েটির বাড়ী লেমশীখালী আশা হাজীর পাড়ায় বলে জানা গেলেও তার সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। মেয়েটি ওই বাড়ীতে বিগত ১০/১১ বছর ধরে ঝিয়ের কাজ করছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

Tuesday, December 23, 2014

কুতুবদিয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান

কুতুবদিয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম.নুরুল বশর চৌধূরী মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে ৫ হাজার করে ৯ পরিবারকে ৪৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোবারক হুসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছৈয়দা মেহেরুন্ নেছা, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাছান কুতুবী, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আওরঙ্গজেব মাতবর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শুভ্রাত দাশ, ছাত্রলীগের আহবায়ক সেলিম উদ্দিন লিটন, যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম লালা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের পিতা ইব্রাহীম খলিল, সতরুদ্দীন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুক্কুর আলম আজাদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ ইউনুছ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জসিম উদ্দিন সিকদার, মেম্বার হাবিব উল্লাহ, আবদুর রহমান কালু, উত্তর ধূরুংয়ের সাবেক ইউপি মেম্বার আলী হোছাইনসহ গন্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কি.মি.দূর্ঘম এলাকা লেমশীখালী পেয়ারাকাটা গ্রামে গত ২০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সাবেক মেম্বার আবদুল্লাহ আল-মামুন, শফিউল্লাহ, আজিজ উল্লাহ, জাকের হোছাইন, ইউনুছ, নুর হোছাইন, হুমায়ুন কবির, এনামুল হক ও আনিছুর রহমানের বসতঘর পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হন ১০ পরিবার।

Monday, December 15, 2014

সাংবাদিকদের লেখালেখির ফল- কুতুবদিয়ায় আরো একটি জেনারেটর স্থাপন পিডিবির লাপাত্তা বায়ু বিদ্যুত! by হাছান কুতুবী

দীর্ঘ ১৮ মাস বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ ছিলো কুতুবদিয়ায়। এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের বহু লেখালেখির পর অবশেষে পিডিবি কর্তৃপক্ষ মাত্র ২০০ কেভিএ শক্তিসম্পন্ন আরো একটি পুরাতন জেনারেটর স্থাপন করেছে। ১২ ডিসেম্বর থেকে উপজেলার অফিস পাড়ায় পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুত সরবরাহ করছে ওই ইঞ্জিন। এদিকে আট বছর গত হলেও এখনো অন্ধকার থেকে আলোর মূখ দেখাতে পারছেনা স্বপ্নের বায়ু বিদ্যুত। প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস্ (বায়ুবিদ্যুত) লিমিটেড ওই প্রকল্পের লুলোপ দৃষ্টি দেখিয়ে সরকার থেকে কোটি কোটি টাকার লোন নিয়ে অন্য ব্যবসায় পূজিঁ বিনিয়োগ করছে বলে সচেতন মহল অভিযোগ করেন। বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পটি বিগত ২০০৬ সনে স্থাপনের পর থেকে অকার্যকর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে সংস্কারের নামে নাড়াছড়া করে বিদ্যুত সরবরাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সর্বশেষ প্রতারণা করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। ৫০০ কেভিএ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামিন্সসহ ৩টি ইঞ্জিন সম্পূর্ণ অকেঝু অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্থানীয় বিদ্যুত ভবনে। এ অবস্থায় ‘ডেল’ নামের মাত্র ১৩০ কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন আরো একটি পুরাতন ইঞ্জিন বসিয়ে কুতুবদিয়াবসীর ‘কাটা ঘাঁতে নুন ছিটা’ দিয়েছে বলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
বিশেষজ্ঞ মহল জানিয়েছেন, বায়ু, সোলার ও জেনারেটর সিষ্টেমের বিদ্যুত ফাঁকিজুুঁকি, লুকোচুরি আর সরকারী অর্থ লোপাটের ফাঁদ। তাই অতসব বাজে সিষ্টেমে অর্থ ব্যয় না করে বাঁশখালীর ছনুয়া থেকে দ্বীপের উত্তর ধূরুং এলাকা হয়ে (মাত্র এক কি.মিটার কুতুবদিয়া চ্যানেল) সাব ম্যারিন ক্যাবলের সাহায্যে কম খরচে জাতীয় গ্রীডলাইন বিদ্যুতায়ন করলে দেশের সম্পদে পরিণত হতে পারে কুতুবদিয়া। অকেঝু ক্যামিন্স ইঞ্জিন মেরামত (ওভারহলিং) ও লাইন সংস্কার প্রক্রিয়াধীন দাবী করে আগামী এক মাসের মধ্যে বায়ু বিদ্যুত সরবরাহ হবে বলে পুনর্বার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন আবাসিক প্রকৌশলী মো.নুরুল আমিন। বহু চেষ্টা করেও লাপাত্তা হয়ে আছেন বায়ু বিদ্যুত কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান।

Tuesday, December 9, 2014

শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য বেগম রোকেয়া সম্মাননা ক্রেস্ট পেলেন ফ্লাইট ল্যা.কায়ামুল হুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মুক্তা by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ার ফ্লাইট ল্যা. কায়ামুল হুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শম্শের নেওয়াজ মুক্তা ‘‘বেগম রোকেয়া সম্মাননা ক্রেস্ট’’ পেয়েছেন। শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। গতকাল ৯ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বেগম রোকেয়া দিবস পালন উপলক্ষ্যে এলজিইডি প্রকৌশলী মুহাম্মদ মুহসিনের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত সভার প্রধান অতিথি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছৈয়দা মেহেরুন্ নেছা শিক্ষিকা মুক্তার হাতে তার সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। মুক্তা চলতি বছর জেলা পর্যায়ে সেরা শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রীধারী মুক্তা কুতুবদিয়া কলেজের প্রদর্শক শওকতুল ইসলাম সিকদারের সহধর্মিনী। কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক আক্কাস উদ্দিন মুক্তার বাবা। সাফল্যের জন্য তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছেন।

Sunday, December 7, 2014

কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে পর্যটন সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরীর by জেসমিন আখতার

বে-সামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব উপজেলার কৃতি সন্তান খোরশেদ আলম চৌধূরী শনিবার কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। স্থানীয়দের সাথে দ্বীপরক্ষা বাঁধের মারাত্মক দৈন্যদশা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন এবং জরুরী আর্থ ওয়ার্কের কাজ ঠিকমতো না করলে বিল পাবেনা বলে জানান তিনি। এ ছাড়া বাঁধ নির্মাণে বরাদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলে স্থানীয়দের আশ্বস্থ করেন সচিব। উত্তর ধূরুং ও আলী আকবর ডেইল এলাকায় পরিদর্শন কালে ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন হায়দার, ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল-আযাদ, থানা ওসি আলতাফ হোছাইন, আ.লীগ নেতা আহমদ উল্লাহ মাষ্টার, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাছান কুতুবী, পাউবোর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আজিজ মুহাম্মদ চৌধুরী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তফাজ্জল হোছাইন, মাসুদুর রাব্বী ও ছাত্রলীগ নেতা সেলিম উদ্দিন লিটনসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Sunday, November 30, 2014

বায়ু বিদ্যুতের প্রতারণায় জাতীয় গ্রীড থেকে বঞ্চিত কুতুবদিয়াবাসী- পিডিবি ও বায়ু বিদ্যুত কোম্পানীর রশিটানাটানি by হাছান কুতুবী

বিদ্যুত সমস্যা কুতুবদিয়ার মানুষকে আর কতকাল ভোগাবে বিধাতাই জানেন। যতসব আশ্বাস সবই যেন গুড়েবালি। বিদ্যুতের আশা কুতুবদিয়াবাসীর যেন আজন্মই হতাশা। বায়ু, সোলার ও জেনারেটর সিষ্টেম সবই ফাঁকিযুকি ও সরকারী অর্থ লোপাটের ফাঁদ। বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), বে-সরকারী দু’টি কোম্পানী প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস্ (বায়ুবিদ্যুত) লিমিটেড ও গ্রীণ হাউজিং এন্ড এনার্জি (মিনিগ্রীড পাওয়ার) লিমিটেড গত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুত সরবরাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যার সুবিধা সে-ই নিলো। তাদের প্রতারণাকে কেন্দ্র করে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে দ্বীপজুড়ে। বিগত ২০০৬ সনে উপজেলায় বায়ু বিদ্যুত স্থাপন হলেও পিডিবির চরম অসহযোগীতার কারণে আলোরমুখ দেখছেনা বলে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন। সমন্বয় ছাড়া নি¤œমানের মালামাল ব্যবহার করায় বায়ু বিদ্যুতের নিশ্চয়তা নিতে পারছেনা বলে জানিয়েছেন পিডিবি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান। আবারো ২০০ কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন একটি জেনারেটর স্থাপনের কথা জানান তিনি। সবক’টি বিদ্যুত কেন্দ্রে সরেজমিনে গেলে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি।
৫০টি টারবাইন, ১০টি ইনভেটরের সাহায্যে দেড় হাজার কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন উইং ব্যাটারী চালিত বায়ু বিদ্যুত প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড ও ১শ’ কিলোওয়াট মিনিগ্রীড পাওয়ার ষ্টেশন সোলার চালিত গ্রীণ হাউজিং এন্ড এনার্জি লিমিটেড বিদ্যুতের কাজ করছে। বিদ্যুত খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও অনিয়ম, অব্যবস্থপনা ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের সুফল পাচ্ছেনা কুতুবদিয়ার পৌনে দু’লাখ মানুষ। শুধু বিদ্যুত সমস্যার কারণে যুগের পর যুগ অন্ধকারে থাকায় উন্নয়নে মারাত্মক পিছিয়ে রয়েছে সম্ভাবনাময় দ্বীপটি। বায়ু, সোলার ও জেনারেটর সিষ্টেম ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘাঁ’ হয়ে জাতীয় গ্রীডলাইনের বিদ্যুত সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে দ্বীপবাসীকে।

Wednesday, November 26, 2014

ইভটিজিং যৌতুকপ্রথা বাল্যবিবাহ্ ও নারী নির্যাতন বন্ধের আহবান -কুতুবদিয়ায় নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ দিবসের সভা অনুষ্টিত by হাছান কুতুবী

নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধসহ তাদের অধিকার প্রতিষ্টায় সমাজের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল হতে হবে। রাষ্ট্রের সকল সুযোগ সুবিধায় তাদেরকে সমহারে অধিকার দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার বৈষম্য কুরআন-হাদিসসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন বলে বিবেচিত হবে। ইভটিজিং, যৌতুকপ্রথা, বাল্যবিবাহ্ ও নারী নির্যাতন বন্ধে পুলিশ প্রশাসনসহ সর্বস্তরের নাগরিককে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশ্ব নারী দের সহিংসতা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালীত্তোর আলোচনা সভায় কুতুবদিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ শাহাব উদ্দিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কুতুবদিয়া থানার আয়োজনে বুধবার সকাল ১১টায় এক বর্নাঢ্য র‌্যালী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ শেষে থানা কম্পাউন্ডে ওসি মুহাম্মদ আলতাফ হোছাইনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এতে উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা ডা.শাহাবুদ্দিন, প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল হুসেন, সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, নির্বাহী সদস্য আরিফুল ইসলাম, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজল দাশ বিশেষ অতিথি ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন থানার উপ-পরিদর্শক এ.বি.এম.কামাল আহমদ, বসু মিত্র, কামরুজ্জামান, গন্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী।

Monday, November 24, 2014

কুতুবদিয়ায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কমিউনিটি ইন্টারেকটিভ সভা অনুষ্টিত by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ায় নিরাপদ মাতৃত্ব, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয় কমিউনিটি ইন্টারেকটিভ সভায় পরিকল্পিত পরিবার গঠন এবং পসূতি মা-শিশুর প্রতি অধিক যত্নশীল হওয়ার জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়। মা-শিশুর মৃত্যু হার কমাতে বিষয়ের তাৎপর্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য উপস্থিত কমিউনিটি লিডারদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানানো হয়। ইউএনএফপির সহযোগীতায় এমসি এইস সার্ভিসেস ইউনিটের আয়োজনে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ এ সভা বাস্তবায়ন করেছে। বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাকের উল্লাহ বিএসসির সভাপতিত্বে পরিষদ মিলনায়তনে সোমবার অনুষ্টিত সভায় কক্সবার জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা.দীপক তালুকদার প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.শাহাবুদ্দিন ও ইউএনএফপির কক্সবাজার প্রতিনিধি নজমুল হাসান বিশেষ অতিথি ছিলেন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র সভায় স্বাগত বক্তব্য বক্তব্য রাখেন। লেমশীখালী ইউনিয়ন প.প.পরিদর্শক নাজেম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় বড়ঘোপ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ হাছান, কুতুবদিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাছান কুতুবী, কুতুবদিয়া হাই স্কুলের প্রবীণ শিক্ষক আক্কাস উদ্দিন, শিক্ষিকা জিন্নাত আরা ও মাওলানা জাফর আলম এতে বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মাঝে ইউপি মেম্বার নাছির উদ্দিন, আবুল কালাম, আখতার উদ্দিন, রেজাউল করিম, সালাউদ্দিন, ফরিদা জাফর, রোকছানা বেগম ও সেলিনা আখতারসহ প.প.বিভাগের মাঠকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

Friday, November 21, 2014

কক্সবাজার জেলার সেরা চেয়ারম্যানের সম্মাননা অর্জনে কুতুবদিয়ায় দক্ষিণ ধূরুং ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ সংবর্ধিত by জেসমিন আখতার

উপজেলার দক্ষিণ ধূরুং ইউপির সফল চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন আল-আজাদকে গন-সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ব্যক্তিত্ব স্মৃতি পরিষদ কর্তৃক কক্সবাজার জেলার সফল চেয়ারম্যান ও সমাজসেবক হিসেবে শের-ই-বাংলা এ.কে.ফজলুল হক সম্মাননা-২০১৪ লাভ করায় স্বত:স্ফূর্তভাবে এলাকাবাসীর বর্নাঢ্য আয়োজনে তাকে এ বিশাল সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। প্রবীণ আলেমেদ্বীন মাওলানা মোছলেহ্ উদ্দিনের সভাপতিত্বে শুক্রবার ধূরুং হাইস্কুল ময়দানে অনুষ্টিত সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির হায়দার প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্টানে এলাকার সর্বস্তরে মানুষ সংবর্ধিত অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন। রাজাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ ছলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় রাজনীতিক ও সমাজসেবক মুহাম্মদ তাহের, ধূরুং হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোরশেদুল আলম, সতরুদ্দীন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শুক্কুর আলম আজাদ, লেমশীখালী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু ইউসুফ, কুতুবদিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাছান কুতুবী, প্রবীণ শিক্ষক আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান, মাষ্টার ফরিদুল আলম, ধূরুং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরওয়ার আলম, স্থানীয় ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মোতাহের হোছাইন, মাষ্টার জয়নুল আবেদীন, মাষ্টার আবুল হোছাইন, ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণ বিশেষ অতিথি ছিলেন। এতে মাষ্টার নুরুল আবছার কুতুবী, মাদ্রাসা সুপার মাহফুজুর রহমান ও মাষ্টার মোস্তান মাহমুদ বক্তব্য রাখেন। সংবর্ধিত চেয়ারম্যান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার অর্জিত সম্মাননা এলাকাবাসীর প্রতি উৎসর্গ করেন। শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান পরিবেশিত হয়।

Thursday, November 20, 2014

কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডির উপকারভোগী মহিলা বাছাই সম্পন্ন by জেসমিন আখতার

উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদে সবার অংশগ্রহনমূলক এক ব্যতিক্রমধর্মী পদ্ধতিতে দু’দিন ব্যাপী ভিজিডির উপকারভোগী গরীব, দু:স্থ ও অসহায় মহিলা নির্বাচন মঙ্গলবার সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে পরিষদের চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা মুহাম্মদ আজমগীর মাতবরের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এক সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম.নুরুল বশর চৌধূরী প্রধান অতিথি ছিলেন। এতে ইউএনও মমিনুর রশীদ, ওসি আলতাফ হোছাইন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাছান কুতুবী, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শুভ্রাত দাশ, সাবেক ইউপি সচিব আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলামসহ এলাকার গন্যমান্যরা বিশেষ অতিথি ছিলেন। বিডিপিসির উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ আহাদ আলী মৃধা জুয়েল’র সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবুল কাশেম, প্রধান শিক্ষক জাফর আলম, জয়নাল আবেদীন, মহিলা অধিদপ্তরের জাকির হোছাইন ও পরিষদের সদস্যগণ এতে বক্তব্য রাখেন। এ কার্যক্রমটি সার্ভিস ইম্প্রুভমেন্ট থ্রো কালেক্টিভ রেসপন্সিবিলিলিটি (শিকড়) নামক প্রকল্পের অধীনে মানুষের জন্য ফাইন্ডেশনের সহযোগীতায় এবং বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার (বিডিপিসি) বাস্তবায়ন করছে। সীমিত যে কোন সরকারী উন্নয়ন প্রকল্প ও বরাদ্ধ এভাবে বাস্তবায়ন হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের বদনাম থাকবেনা বলে প্রধান অতিথিসহ বক্তারা মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য বাছাইকৃত ১৬৫ জন দু:স্থ মহিলা প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে দু’বছর পর্যন্ত খাদ্যশষ্য পাবে।

Sunday, November 16, 2014

কুতুবদিয়ায় বায়তুশ শরফের চক্ষুক্যাম্প উদ্বোধন করলেন এমপি রফিক by হাছান কুতুবী

ধর্মীয় ও আর্ত মানবতার সেবায় বায়তুশ শরফের প্রতিষ্টাতা হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (রহ:) ও পৃষ্টপোষক বাহরুল উলুম মাওলানা কুতুব উদ্দিন (মা.জি.আ.) জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন। শনিবার কুতুবদিয়ায় বায়তুশ শরফের চক্ষু চিকিৎসা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে কুতুবদিয়া-মহেশখালীর সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এ কথা বলেন। বায়তুশ শরফ মসজিদের উন্নয়নকাজে সহযোগীতার আশ্বাস দেন এমপি। এস.এম.কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বায়তুশ শরফ প্রাঙ্গনে অনুষ্টিত সভায় জেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধূরী প্রধান অতিথি ছিলেন। অন্যান্যদের মাঝে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আ.লীগের প্রভাবশালী নেতা এড.ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী, ইউএনও মমিনুর রশীদ, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ কুতুবী, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ ছাফা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার সেলিম চৌধূরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আওরঙ্গজেব মাতবর, মাহবুব আলম মাতবর, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাছান কুতুবী, কুতুবদিয়া বায়তুশ শরফের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হক, আ.লীগ নেতা মুসলিম খাঁনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এতে আবু তৈয়ব ও আলহাজ্ব ডা.দিদারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। পরে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে বিকালে কুতুবদিয়া ত্যাগ করেন এমপি।

Friday, November 7, 2014

কুতুবদিয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম.নুরুল বশর চৌধূরী বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে ৫হাজার করে ১০ পরিবারকে ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান জালাল আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন হায়দার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজদৌল্লাহ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, সাংবাদিক আহমদ কবির, মেম্বার নুরুন্ নবী, মেম্বার ফারুখসহ গন্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা সদর থেকে ১৬ কি.মি. দূর্ঘম এলাকা উত্তর ধূরুংয়ের জহিজ্যার পাড়ায় গত ৩ নবেম্বর গভীর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১ বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে প্রায় দেড়কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মাওলানা জাকের হোছাইন, আখতার হোছাইন, সাবেক ইউপি মেম্বার নুর মুহাম্মদ, মুহাম্মদ রিদোয়ান, মাওলানা নুরুল আলম, মাষ্টার নুরুল আমিন, রমিজ আহমদ, নাছির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, আব্বাছ উদ্দিন ও রিনা আখতার।

Tuesday, November 4, 2014

উত্তর ধূরুংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১ ঘর ভস্মিভূত- ক্ষতি দেড় কোটি by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১ বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলা সদর থেকে ১৬ কি.মি. দূর্ঘম এলাকা উত্তর ধূরুংয়ের জহিজ্যার পাড়া মিয়া মাতবরের ফজুবাপের বাড়ীতে সোমবার রাত দেড়টায় সংঘটিত অগ্নিকান্ডে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র, জীবন্ত ছাগল, হাঁস-মুরগী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মাওলানা জাকের হোছাইন, আখতার হোছাইন, সাবেক ইউপি মেম্বার নুর মুহাম্মদ, মুহাম্মদ রিদোয়ান, মাওলানা নুরুল আলম, মাষ্টার নুরুল আমিন, রমিজ আহমদ, নাছির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, আব্বাছ উদ্দিন ও রিনা আখতার।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাঁশের বেড়ায় টিনসেট এক বিশাল বাড়ীতে প্রথম ৬ পরিবার ও অপর টিনসেট কাঁচাবাড়ীতে ৫ পরিবার বসবাস করেন। আগুন লাগার ধরণ থেকে কেবা কারা শত্রুতাবসত এ ধব্বংশাত্বক কাজটি করেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। বহু টাকার ফিশিংবোটের জাল, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার পুড়ে যাওয়ায় নির্বাক দেখা গেছে জাকের ও তার ভাই আখতারকে। ইউএনও মমিনুর রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন হায়দার, কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধূরী, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজদৌল্লাহ, ফিরোজ খাঁন চৌধূরী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, আ.লীগ ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করেন বলে স্থানিয় মেম্বার নুরুন্ নবী জানিয়েছেন।

উত্তর ধূরুংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১ ঘর ভস্মিভূত : ক্ষতি দেড় কোটি by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১ বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলা সদর থেকে ১৬ কি.মি. দূর্ঘম এলাকা উত্তর ধূরুংয়ের জহিজ্যার পাড়া মিয়া মাতবরের ফজুবাপের বাড়ীতে সোমবার রাত দেড়টায় সংঘটিত অগ্নিকান্ডে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র, জীবন্ত ছাগল, হাঁস-মুরগী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মাওলানা জাকের হোছাইন, আখতার হোছাইন, সাবেক ইউপি মেম্বার নুর মুহাম্মদ, মুহাম্মদ রিদোয়ান, মাওলানা নুরুল আলম, মাষ্টার নুরুল আমিন, রমিজ আহমদ, নাছির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, আব্বাছ উদ্দিন ও রিনা আখতার।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাঁশের বেড়ায় টিনসেট এক বিশাল বাড়ীতে প্রথম ৬ পরিবার ও অপর টিনসেট কাঁচাবাড়ীতে ৫ পরিবার বসবাস করেন। আগুন লাগার ধরণ থেকে কেবা কারা শত্রুতাবসত এ ধব্বংশাত্বক কাজটি করেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। বহু টাকার ফিশিংবোটের জাল, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার পুড়ে যাওয়ায় নির্বাক দেখা গেছে জাকের ও তার ভাই আখতারকে। ইউএনও মমিনুর রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন হায়দার, কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধূরী, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজদৌল্লাহ, ফিরোজ খাঁন চৌধূরী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, আ.লীগ ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করেন বলে স্থানিয় মেম্বার নুরুন্ নবী জানিয়েছেন।

Saturday, November 1, 2014

স্থায়ি প্রতিরক্ষাবাঁধ নির্মাণ অনিশ্চিত! অস্তিত্বের সংকটে দ্বীপ-কুতুবদিয়া by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ার চারিদিকে যে ভাবে ভাঙছে সে অনুপাতে উদ্যোগ নেই প্রতিরক্ষাবাঁধ নির্মাণের। বেড়িবাঁধ নির্মাণে পাউবো, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয় না থাকায় বিচ্ছিন্নভাবে প্রতি বছর প্রাপ্ত বরাদ্ধও অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে লোপাট হয়ে যায় সিংহভাগ। ফলে বছরকে বছর দ্বীপ-রক্ষাবাঁধের বৃহৎ অংশ খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ অবস্থায় ‘ড্যামিজ পোল্ডার নামে ৫৪ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব (ডিপিপি)’ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কাজের পিক আওয়ার অতিবাহিত হলেও মন্ত্রণালয় ও একনেক এখনো পর্যন্ত তা অনুমোদন না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত চলতি শুস্ক মৌসুমে স্থায়ি প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জরুরীভাবে বরাদ্ধ দেয়া না হলে দেশের সম্ভাবনাময় কক্সবাজারের দ্বীপ-উপজেলা কুতুবদিয়ার অস্তিত্ব চরম হুমকির মূখে পড়তে পারে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিবেশ বিজ্ঞানী কুতুবদিয়ার চার কৃতি সন্তান সরকারের সাবেক সচিব আ.ম.ম.নাসির উদ্দীন, নিউজার্সীর মন্মাউথ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোস্যাল সাইন্সের প্রফেসর ও সহযোগী ডিন ড.গোলাম মুহাম্মদ মাতবর, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি এন্ড এনভায়ারমেন্ট সাইন্সের প্রফেসর ড.কামাল হোসাইন এবং জাপানের ওইতা বিশ্ববিদ্যলয়ের তরুণ গবেষক ড. মুহাম্মদ শাহজাহান কুতুবীসহ আরো অনেকে। কুতুবদিয়ায় বর্ষার আগে চাষাবাদ ও জনবসতি রক্ষায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আপতকালিন জরুরী মাটির বাঁধ এবং শুস্ক মৌসুমে স্থায়ি বাঁধের কাজ করতো পাউবো। কিন্তু গেল বর্ষায় কোন কাজ না হওয়ায় প্রতিরক্ষা বাঁধের বিশাল খোলা অংশ দিয়ে নিয়মিত সামুদ্রিক নুনা জোয়ারের পানি ওঠা-নামা করায় উত্তর ধূরুংসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় করা যায়নি চাষাবাদ। বসতঘর হারায় কয়েক হাজার মানুষ, বিধ্বস্ত হয় রাস্তা-ঘাট ও লবণ পানিতে ভর্তি হয়ে আছে সমস্ত পুকুর-জলাশয়। ওসব এলাকায় বর্তমানে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি তীব্র সমস্যা দেখা দিয়েছে পানীয় জলের।
৪০ বর্গ কি.মি. দ্বীপরক্ষা বাঁধের মধ্যে পাউবো কর্তৃপক্ষ মাত্র ৮কি.মি. অতিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করলেও সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, উত্তর ধূরুং, দক্ষিণ ধূরুং, কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ ও আলী আকবরডেইল এলাকার পশ্চিমে জোয়ার ঠেকানোর মতো বাঁধ নেই এবং দ্বীপের পূর্ব পাশের পুরো এলাকা রয়েছে অরক্ষিত। বেড়িবাঁধ নির্ভর ওসব এলাকার মানুষের নিত্য যাতায়াতে চলছে চরম দূর্ভোগ। এ ছাড়া চর ধূরুং ও কাইছার পাড়া এলাকার প্রায় ৫কি.মি. সম্পূর্ণ ভাঙা অংশে সিসিব্লক দ্বারা স্থায়ি বাঁধ নির্মাণ করা না হলে খুদিয়ারটেকের মতো গোটা উত্তর ধূরুংও সমুদ্র গর্ভে বিলীন হবার আশঙ্কা করছে উন্নয়ন বিশ্লেষক মহল। জলবায়ুর প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও পাউবো কর্তৃপক্ষের মান্দাতা আমলের ডিজাইনে করা বাঁধে বহু সরকারি অর্থ ব্যয় হলেও ঠেকানো যাচ্ছেনা ভয়াবহ ভাঙন। উন্নয়ন গবেষকরা জানিয়েছেন, সমোপযোগি ডিজাইনে দ্বীপের চারিদিকে মাটির বাঁধের সাথে সিসিব্লকসহ ভিতরে বাইরে দু’স্তরের সবুজ বনায়ন সৃজন করলে একদিকে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব অপরদিকে যানবাহন চলাচলের সুবিধা হলে কুতুবদিয়া হতে পারে দেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট।
আলীআকবর ডেইল বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পের দক্ষিণ পয়েন্টে গত ১১-১২ অর্থ বছরের ১৬ কোটি টাকার ‘প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ ৩-এ- ১১শ’ মিটার সিসিব্লক দ্বারা প্রতিরক্ষাবাঁধের জন্য প্রায় ৫০ হাজার ব্লক তৈরী করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, বিশ্ব ব্যাঙ্কের কন্সাল্টেন্ট ও ঠিকাদারি সংস্থা মেসার্স আতাউর রহমানের (প্রো.আতিক উদ্দিন চৌধূরী ও রেজাউল করিম) রশিটানাটানির কারণে বাতিল হয়ে যায় কাজের চুক্তিপত্র। ওই ঠিকাদারের তৈরীকরা ব্লকগুলো বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিগত চারবছর ধরে ওই খোলা পয়েন্টে নিয়মিত জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়ে তাবালেরচর ও আনিচের ডেইলের প্রায় ১২হাজার হেক্টর ফসলী জমি পরিত্যক্ত হয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে ৪০ হাজার মানুষ। পুন: টেন্ডারে ওই প্যাকেজটি কক্সবাজার উন্নয়ন ইন্টারন্যশনাল পেলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় কাজ শুরু করতে পারেনি। জটিলতা কেটে ওঠলে আগামী নবেম্বরের শেষে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারী সংস্থাটির লীড পার্টনার আতিকুল ইসলাম সিআইপি। কাইছার পাড়া এলাকায় একই ঠিকাদারের অধীনে ওয়ামিপের আওতায় ৭১ নম্বর পোল্ডারের প্যাকেজ নম্বর-৫-এ-গত ১২-১৩ অর্থ সনের ৮.৭১৫ কি.মি. মাটির বাঁধ ও ৭৫০ মিটার সিসিব্লক দ্বারা প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ যথা সময়ে সম্পন্ন না করায় গেল বর্ষায় গোটা উত্তর ধুরুংবাসী সারা বর্ষা নুনা পানিতে হাবু-ডুবুর শিকার হতে হয়েছে বলে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ অভিযোগ করেছেন।
এদিকে বর্ষা শেষে টেন্ডার ছাড়াই ইমার্জেন্সী ওয়ার্কের নামে ৬ প্যাকেজে ৫০ লাখ টাকার মাটির কাজ স্থানীয় আ.লীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভাগ-ভাটোয়ারা করে নিয়েছে বলে খোদ পাউবো’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী এ.টি.এম. মাসুদুর রাব্বী স্বীকার করেন। নামমাত্র কাজ দেখিয়ে তারা সমুদয় টাকা হরিলুটের পায়তারা করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে। দ্বীপবাসীর বাঁচা-মরার প্রশ্নে স্থায়ি প্রতিরক্ষাবাঁধ নির্মাণে সরকারের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে জানিয়েছেন কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আ.স.ম.শাহরিয়ার চৌধূরী। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়া গেলে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন পাউবো কক্সবাজার জেলার নির্বাহি প্রকৌশলী শফিকুল হক।

Thursday, October 30, 2014

অরক্ষিত এলাকায় চলতি শুস্ক মৌসুমে স্থায়ি প্রতিরক্ষাবাঁধ নির্মাণ অনিশ্চিত! অস্তিত্বের সংকটে কুতুবদিয়া by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়া প্রতিরক্ষা বাঁধের বৃহৎ অংশ খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘ড্যামিজ পোল্ডাডার নামে ৫৪ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব (ডিপিপি)’ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে দীর্ঘদিন আগে প্রেরণ করেছে বলে জানা যায়। কিন্তু মন্ত্রণালয় ও একনেক এখনো পর্যন্ত তা অনুমোদন না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত চলতি শুস্ক মৌসুমে স্থায়ি প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিষয়ে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন না করলে দেশের সম্ভাবনাময় কক্সবাজারের দ্বীপ-উপজেলা কুতুবদিয়ার অস্তিত্ব চরম হুমকির মূখে পড়তে পারে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিবেশ বিজ্ঞানী কুতুবদিয়ার চার কৃতি সন্তান সরকারের সাবেক সচিব আ.ন.ম.নাসিরউদ্দীন, ‘নিউজার্সীর মন্মাউথ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোস্যাল সাইন্সের প্রফেসর ও সহযোগী ডিন ড.গোলাম মুহাম্মদ মাতবর, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি এন্ড এনভায়ারমেন্ট সাইন্সের প্রফেসর ড.কামাল হোসাইন এবং জাপানের ওইতা বিশ্ববিদ্যলয়ের তরুণ গবেষক ড. মুহাম্মদ শাহজাহান কুতুবীসহ আরো অনেকে।

কুতুবদিয়ায় বর্ষার আগে চাষাবাদ ও জনবসতি রক্ষায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আপতকালিন জরুরী মাটির বাঁধ এবং শুস্ক মৌসুমে স্থায়ি বাঁধের কাজ হত। কিন্তু গেল বর্ষায় কাজ না হওয়ায় প্রতিরক্ষা বাঁধের বিশাল খোলা অংশ দিয়ে নিয়মিত সামুদ্রিক নুনা জোয়ারের পানি ওঠা-নামা করায় উত্তর ধূরুংসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় হয়নি চাষাবাদ। বসতঘর হারায় কয়েক হাজার মানুষ, বিধ্বস্ত হয় রাস্তা-ঘাট ও লবণ পানিতে ভর্তি হয়ে আছে সমস্ত পুকুর-জলাশয়। ওসব এলাকায় বর্তমানে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি তীব্র সমস্যা দেখা দিয়েছে পানীয় জলের।
৪০ বর্গ কি.মি. দ্বীপরক্ষা বাঁধের মধ্যে পাউবো কর্তৃপক্ষ ৮কি.মি. ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করলেও সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, উত্তর ধূরুং, দক্ষিণ ধূরুং, কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ ও আলী আকবরডেইল এলাকার পশ্চিমে জোয়ার ঠেকানোর মতো বাঁধ নেই এবং দ্বীপের পূর্ব পাশের পুরো এলাকা রয়েছে অরক্ষিত। এ ছাড়া চর ধূরুং ও কাইছার পাড়া এলাকার প্রায় ৫কি.মি. ভাঙা অংশে সিসিব্লক দ্বারা স্থায়ি বাঁধ নির্মাণ করা না হলে খুদিয়ারটেকের মতো গোটা উত্তর ধূরুংও সমুদ্র গর্ভে বিলীন হবার আশঙ্কা করছে উন্নয়ন বিশ্লেষক মহল। জলবায়ুর প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও পাউবো কর্তৃপক্ষের মান্দাতা আমলের ডিজাইনে করা বাঁধে বহু সরকারি অর্থ ব্যয় হলেও ঠেকানো যাচ্ছেনা ভয়াবহ ভাঙন। এ অবস্থায় সমোপযোগি ডিজাইনে মাটির বাঁধের সাথে সিসিব্লক বসালে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহল জানিয়েছেন।

আলীআকবর ডেইল বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পের দক্ষিণ পয়েন্টে গত ১১-১২ অর্থ বছরের ১৬ কোটি টাকার ‘প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ ৩-এ- ১১শ’ মিটার সিসিব্লক দ্বারা প্রতিরক্ষাবাঁধের জন্য প্রায় ৫০ হাজার ব্লক তৈরী করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও ঠিকাদারি সংস্থা মেসার্স আতাউর রহমান (প্রো.আতিক উদ্দিন চৌধূরী ও রেজাউল করিম) রশিটানাটানির কারণে টেন্ডার বাতিল হয়ে যায়। বর্তমানে ওসব ব্লকের অধিকাংশ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিগত চারবছর ধরে ওই খোলা পয়েন্টে নিয়মিত জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়ে তাবালেরচর ও আনিচের ডেইলের প্রায় ১২হাজার হেক্টর ফসলী জমি পরিত্যক্ত হয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে ৪০ হাজার মানুষ। পরে পুন: টেন্ডারে ওই প্যাকেজটি কক্সবাজার উন্নয়ন ইন্টারন্যশনাল পেলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় কাজ শুরু করতে পারেনি। জটিলতা কেটে ওঠলে আগামী নবেম্বরের শেষে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারী সংস্থাটির লীড পার্টনার আতিকুল ইসলাম সিআইপি। একই গ্রামের কাহারপাড়া এলাকায় ২০ চেইন বেড়িবাঁধে মারাত্মক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে আলীআকবর ডেইলসহ উপজেলা সদর বড়ঘোপ চরম অরক্ষিত হয়ে আছে। এদিকে গত মাসের শেষের দিকে ক্ষমতাসিন দলের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে ৬ প্যাকেজে ৫০ লাখ টাকার মাটির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পাউবো’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী এ.টি.এম. মাসুদুর রাব্বী। দ্বীপবাসীর বাঁচা-মরার প্রশ্নে সরকারের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে জানিয়েছেন কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আ.স.ম.শাহরিয়ার চৌধূরী। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়া গেলে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্থায়ি প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন পাউবো কক্সবাজারের নির্বাহি প্রকৌশলী শফিকুল হক।

কুতুবদিয়া উপকূল থেকে তিন কোটি টাকার ইয়াবার চালান উদ্ধার by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়া উপকূল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বিশাল একটি ইয়াবার চালান উদ্ধার করা হয়েছে। সাগরে মাছ ধরার একটি ট্রলারকে সন্দেহমূলকভাবে ধাওয়া করে কোস্টগার্ড। তাড়া খেয়ে বোটটি দ্রুতগতিতে কুতুবদিয়ার দক্ষিণ অমজাখালীর সমুদ্র তীরে এসে পাচারকারিরা ফেলে উপকূলে পালিয়ে যায়। পরে ওই বোটে তল্লাশি করে ৫২ হাজার ৫শ’ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে কোস্টগার্ডের দল। যার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি এবং ট্যাবলেট ও ট্রলার কোথায় কী অবস্থায় রয়েছে তা অবগত নয় বলে জানিয়েছেন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলতাফ হোছাইন। তবে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ মাঝিমাল্লা মনির আহমদ মাঝি (৪৫), সবুজ (২০), আবু কাশেম (৫০), মুহাম্মদ ছাদেক (৩৪), আবুল কালাম (৩২) ও কলিম উল্লাহ (৩০) কে আটক করেছে। এদের মধ্যে একজন বোয়ালখালীর অপর ৫জন গহিরা আনোয়ারা এলাকার বলে থানার এস.আই.বসু মিত্র জানিয়েছেন। অভিযানে ছিলেন কোস্টগার্ড চট্্রগ্রাম পূর্ব জোনের লে.কমান্ডার এম.আশিক মাহমুদ। এদিকে গত ২৭ অক্টোবর কুতুবদিয়া উপজেলা সদর বড়ঘোপ ঝাউবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪শত মিটার প্লাস্টিক রশি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। পরে ওই রশিরও হদিস পাওয়া যায়নি। নৌবাহিনী-কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়হীনতায় চোরাকারবারি চক্র সাগর-উপকূলে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে বলে অপরাধ বিশ্লেষক মহল জানিয়েছেন।

Monday, October 27, 2014

কুতুবদিয়ায় ধূরুং জেটিঘাট সড়কের দৈন্যদশা, জনদুর্ভোগ by হাছান কুতুবী

সংস্কারের অভাবে কুতুবদিয়ার ধূরুং জেটিঘাট ও সংযোগ সড়ক বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এ জনগুরুত্বপূর্ণ জেটিঘাটটি। এতে করে দ্বীপের বৃহত্তম উত্তরজোন ধূরুংবাজারের মালামাল পরিবহণ ও লাখো মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার নাভিশ্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জেটিঘাটটির অবস্থান উত্তর ধূরুং এলাকায় হলেও দক্ষিণ ধূরুং, লেমশীখালীসহ গোটা দ্বীপের মানুষ এ ঘাট হয়ে সহজে যাতায়াত করে চট্টগ্রামে। ঘাটের দক্ষিণে প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ হয়ে লেমশীখালীর মিরাখালী সড়ক। উত্তরে অন্তত: ১৫ চেইন বেড়িবাঁধ হয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার বিশিষ্ট ধূরুং জেটিঘাট সংযোগ সড়কটি অর্ধযুগ আগে কার্পেটিং করা হলেও সংস্কার হয়নি অধ্যাবদি। বর্তমানে রোড ও বেড়িবাঁধের চরম নাজুক অবস্থার কারণে ওই এলাকার সম্পূর্ণ মালামাল ও লবণ দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার উল্টো পথে দরবার জেটিঘাট দিয়ে উঠা-নামা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শাহ্ আলম মধূ। এ ছাড়া বিগত ৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ের পর আইডব্লিউ টিসির নির্মিত জেটিঘাটটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে আবু হেনা সিকদার, মনছুর আলম, সাবেক ইউপি মেম্বার সিরাজদৌল্লাহ, আলী হুসেনসহ আরো অনেকে জানিয়েছেন। পানীয়জল, টয়লেট ও লাইটিং ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রী সাধারণের সমস্যার কথা জানিয়েছেন মাষ্টার মাঈনুদ্দিন দিদার ও মাষ্টার কাইছার আলম। বারংবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনো টনক নড়ছেনা বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সিরাজ-দৌল্লাহ।

Wednesday, October 22, 2014

কুতুবদিয়ায় কৃষি বিভাগের মাঠ দিবস সম্পন্ন by হাছান কুতুবী

চাষাবাদে অধিক ফলন অর্জনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গ্রহন করতে হবে। এ জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের প্রান্তিক চাষীদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। কুতুবদিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বুধবার অনুষ্টিত ক্লাইমেট ফিল্ড স্কুল এর মাঠ দিবসে উপজেলা চেয়ারম্যান এ.টি.এম.নুরুল বশর চৌধূরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। রুপম পালের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, রাজনীতিক মৌলভী মুহাম্মদ তাহের, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, নুরুল আবছারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণ এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিপুল সংখ্যক কৃষক। ডিজস্টার এন্ড ক্লাইমেট ইন এগ্রিকালচার প্রকল্পের অর্থায়নে দক্ষিণ মগডেইল ষ্টেডিয়ামে অনুষ্টিত সভায় কৃষক উদ্বুদ্ধ করণে কৃষি যন্ত্রপাতির বিভিন্ন ষ্টল প্রদর্শিত হয়।

(কুতুবদিয়া ২২-অক্টোবর)

Monday, October 20, 2014

কুতুবদিয়ার চাষাবাদ রক্ষায় এ সময়েই ইমার্জেন্সী ওয়ার্ক! by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ার চর ধূরুংয়ের মাত্র দেড় কিলোমিটার ভাঙ্গা বেড়িবাঁধের কারণে গোটা ইউনিয়নবাসি পথে বসেছে। পুরো বর্ষায় সামুদ্রিক জোয়ার-ভাটার কারণে কৃষকেরা করতে পারেনি চাষাবাদ। বসতঘর হারায় কয়েক হাজার মানুষ। নোনা পানিতে ভর্তি হয়ে আছে সমস্ত পুকুর-জলাশয় ও খাল-বিল। বর্তমানে খাবার ও ব্যবহারের পানির তীব্র সংকট চলছে ওই এলেকায়। যথা সময়ে খোলা বাঁধটি নির্মাণ করলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এতো ক্ষতির শিকার হতোনা বলে উন্নয়ন বিশ্লেষক মহল মনে করেন। বর্ষার চাষাবাদ মৌসুম শেষে গত ১৮ অক্টোবর থেকে ওই এলাকায় বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করলে বিক্ষুব্ধ জনতা বলেন ‘চাষাবাদ রক্ষায় এ সময়ে এটাই কী ইমার্জেন্সী ওয়ার্ক? এ কাজ যেন্ ‘কাটা ঘাঁয়ে লবণ ছিটা’ বলে মনে করছেন তারা।

গত ১৭ আগষ্ট পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও প্রতি মন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক কুতুবদিয়ার দূর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে চাষাবাদ রক্ষায় জরুরী রিঙবাঁধসহ কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ি বাঁধ নির্মাণে সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকার মহা পরিকল্পনার কথা বলেন। মন্ত্রীদ্বয় সফরের প্রায় দু’মাস পর উপজেলার কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে রিঙবাঁধের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জরুরী আর্থ ওয়ার্কের জন্য বরাদ্ধের পরিমাণ স্পষ্ট না জানালেও ক্ষমতাসিন দলের বেশ কয়েকজন নেতার মাধ্যমে এ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সরে জমিনে গিয়ে চর ধূরুংয়ের উত্তরে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ না করে অন্য একটি পয়েন্টে কাজ করতে দেখা গেলেও অপরাপর এলাকায় এখনো কাজ শুরু করেনি। জেলা আ’লীগের সদস্য শফিউল আলম জানিয়েছেন তার অংশের কাজ আজ মঙ্গলবার শেষ হয়ে যাবে। এ ছাড়া পূর্বের টেন্ডার বলবৎ থাকায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ কাইছার পাড়া এলাকায় আর্থ ওয়ার্ক হচ্ছেনা বলে জানা গেছে। ফলে আগামী চাঁদের ১০ তারিখ থেকে পূর্ণিমার চোরা জোয়ারে গোটা এলাকা আবারো তলিয়ে যাবার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। ফলে ওই এলাকায় লবণ চাষও মারাত্মক হুমকির মাঝে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করবে বলে জানিয়েছেন পাউবোর কক্সবাজার জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল হক।

(২০-অক্টোবর)

Friday, October 10, 2014

কুতুবদিয়ায় স্টুডেন্ট’স ইউনিফিকেশনের কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা by হাছান কুতুবী

শিক্ষার্থীদের জ্ঞান নির্ভর শিক্ষা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। না হয় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রতিষ্টিত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ জন্য শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। স্টুডেন্ট’স ইউনিফিকেশন’র উদ্যোগে উপজেলার কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সভায় মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি এস.এম.আর. আরেফীন রিমন’র সভাপতিত্বে কুতুবদিয়া হাইস্কুল ময়দানে অনুষ্টিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আ.লীগের প্রবীণ নেতা এড.ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী। জেলা আ.লীগের অপর প্রবীণ নেতা শফিউল আলম সভা উদ্বোধন করেন। উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ কুতুবী, সাধারণ সম্পাদক নুরুচ ছাফা, মাদ্রাসা সুপার মাওলানা নুরুজ্জামান হেলালী, মাওলানা মোরশেদুল মান্নান, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও জেলা সদস্য আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিগণ এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। সংগঠনের পক্ষে মিজানুর ও ওয়াহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। রিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শাব্বির আহমদ শাহীন বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথি এসএসসি. দাখিল. এইস.এসসি. আলিম পরীক্ষায় এ+প্রাপ্ত ও ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে দ্বীপ শিখা ম্যাগাজিন, সনদ, নগদ টাকা ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন। এ ছাড়া কুতুবদিয়া হাইস্কুল, আলী আকবর ডেইল হাইস্কুল ও বড়ঘোপ ফাজিল মাদ্রাসাকে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্টান ও কুতুব আউলিয়া কিন্ডার গার্ডেন স্কুলকে সর্বোচ্চ বৃত্তিপাপ্ত প্রতিষ্টান হিসাবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে এমপিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

Monday, October 6, 2014

মানুষের বানানো প্রাচীনতম ও দীর্ঘতম পানিপথ

চীনের ইতিহাসে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা কমই আছে: মানুষের বানানো পৃথিবীর দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে প্রাচীনতম পানিপথ এটা, যা সুয়েজ খালের চেয়ে ৯ গুণ দীর্ঘ। এই খাল কাটা না হলে বেইজিং হয়তো কখনোই চীনের রাজধানী হয়ে উঠত না। আর এই খাল ছাড়া হয়তো চীন-ই চীন হয়ে উঠত না! এমন আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ কারণেই দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ‘বেইজিং গ্র্যান্ড ক্যানাল’ বা ‘বেইজিংয়ের বড় খাল’-কে এ বছরের জুন মাসে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেসকো। সরেজমিন ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে এক ফটো ফিচারে এ সম্পর্কে জানিয়েছেন বিবিসির আমান্দা রুগেরি।

এ প্রজন্মের ‘বেইজিংগার’ বা বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে অল্প কিছু লোক যদিও বা বড় খাল ঘুরে দেখে থাকেন, তাহলে তার চেয়ে আরও কম পর্যটকই তা দেখেছেন। অবশ্য এই বড় খাল দক্ষিণ চীনে তুলনামূলকভাবে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। সেখানে প্রমোদতরি আর বার্জগুলো এখনো ২ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো এই নৌপথে চলাচল করে। কিন্তু অনেক বেইজিংগারই জানেন না যে, তিয়েনআনমেন স্কয়ারের ৩৫ কিলোমিটার দূরে বেইজিংয়ের তোংঝু উপশহর থেকে শুরু হওয়া এই হাতে কাটা খাল ১ হাজার ৭৯৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পূর্ব-চীনের ঝেইজিয়াং প্রদেশের রাজধানী হাংঝোও পর্যন্ত বিস্তৃত।

বেইজিংয়ের এই বড় খাল কাটতে কাটতে পেরিয়ে গেছে প্রায় ১৮০০ বছর। যে লাখ লাখ শ্রমিক এই খাল কাটতে গিয়ে জীবনতিপাত করেছেন, দুনিয়ার আর কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভবত এত মানবসম্পদ কাজে লাগাতে হয়নি। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮৬ সালে এই খাল কাটার কাজ শুরু হয়। ৬০৫ সালের দিকে চীনের এক সাবেক রাজধানী লুয়োইয়াং থেকে কিংঝিয়াং পর্যন্ত এক হাজার কিলোমিটারের মতো খাল কাটা শেষ হয়েছিল। এর পাঁচ বছর পর ঝেনজিয়াং থেকে হাংঝোও পর্যন্ত আরও ৪০০ কিলোমিটার খাল কাটা শেষ হয়।

মানুষের বানানো এই দীর্ঘতম পানিপথে আরও জল গড়ানো বাকি ছিল তখনো। ৬১০ সালের দিকে এই খাল পৌঁছে যায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে। অন্ততপক্ষে ৩০ লাখ কৃষককে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল এখানে। ধারণা করা হয়ে থাকে, এই কৃষক-শ্রমিকদের অর্ধেকেরও বেশি কঠোর পরিশ্রম আর অনাহারে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু কুবলাই খান যখন ১২৭১ সালে কাইফেং বা লুয়োইয়াং থেকে রাজধানী স্থানান্তর করে বেইজিংয়ে নিয়ে আসেন, তখন আগের চেয়ে আরও বেশি কৃষক-শ্রমিককে জীবন উৎসর্গ করতে হয় এই খাল কাটার জন্য। এখনকার বেইজিং-হাংঝোও নৌপথের রূপ দিতে আরও ৪০০ কিলোমিটার খাল কাটতে হয়। সে সময় ১০ বছরে অন্তত ৪০ লাখ মানুষ কাজ করেন কুবলাই খানের নতুন রাজধানীকে আরও সরাসরি এই খালে যুক্ত করতে। ইউনেসকোর ভাষ্য অনুযায়ী, বেইজিং গ্র্যান্ড ক্যানাল ‘শিল্প বিপ্লবের আগে বাস্তবায়িত দুনিয়ার সবচেয়ে বড় এবং সুপরিসর পুর-কৌশল প্রকল্প’।

প্রাচীন চীন সাম্রাজ্যের জন্য নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই এত সাধনায় বাস্তবায়ন করা হয়েছিল এই খাল কাটা। নাগরিকদের খাদ্যনিরাপত্তা তার মধ্যে অন্যতম। ইয়াংসি অববাহিকা চীনের রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত হলেও খোদ ইয়াংসি নদীই পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত। কিন্তু শাসকেরা জানেন, ক্ষুধার্ত জনগণই বিদ্রোহ করে বসে আর না-খাওয়া সৈনিকেরা কোনো কাজে আসে না। ফলে এই খাল কাটার মধ্য দিয়ে চীনের শাসকেরা ইয়াংসি থেকে হলুদ নদী হোয়াংহো পর্যন্ত চাল বোঝাই নৌকা চলাচলের সুযোগ করে দিতে পেরেছিলেন। এই অববাহিকায় উৎপাদিত চালের মতোই উত্তর চীনে উৎপাদিত গমও এই নৌপথ দিয়েই দক্ষিণ চীনে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি আরও কিছু ছোট ছোট খাল-নদীতে যুক্ত হয়ে এই নৌ-পথ রাজধানী বেইজিংকে ঘিরে চীনে উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম যোগাযোগ, পণ্য পরিবহন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান অবলম্বন হয়ে ওঠে।
যেকোনোও মহৎ সৃষ্টিই যেমন সৃজনের পথকে আরও প্রসারিত করে, ঠিক তেমনটাই ঘটেছে বেইজিং বড় খালের ক্ষেত্রে। ৫৮৭ সালেই সুই সাম্রাজ্যের শাসনামলে এই খালে দুনিয়ার প্রথম ‘লক গেট’ বানানো হয়েছিল। হোয়াংহো নদীর সঙ্গে এই খালের সংযোগ পথে পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য এমন গেট বসিয়েছিলেন প্রকৌশলী লিয়াং রুই। ৯৮৪ সালে আরেক প্রকৌশলী কিয়াও উইয়েও এই খালে প্রথম ‘পাউন্ড লক’ বানান। আধুনিক পানি-প্রযুক্তিতে অনেক খালেই আমরা এমন ধরনের ব্যবস্থা দেখি। এতে দুই পাশে ঘের দিয়ে একটা নিরাপদ পুকুরের মতো তৈরি করা হয় এবং পানির উচ্চতা কমে-বেড়ে স্থির না হওয়া পর্যন্ত নৌকাগুলো সেখানে অপেক্ষা করতে পারে। ১৯৭৩ সালে ইউরোপে প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় নেদারল্যান্ডসের ভ্রিসভিকে।

১৯ শতকে চীনে রেলপথের প্রসারের পর থেকেই এই নৌপথের গুরুত্ব কমতে থাকে। গ্র্যান্ড ক্যানালের অনেক ছোট ছোট সংযোগ খালের সংস্কারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ১৯৫৮ সালে মূল খালে একটা বড় ধরনের সংস্কারকাজ করা হয়। সে সময় থেকেই দক্ষিণ চীনে গুরুত্বের সঙ্গে নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা। অতি সম্প্রতি বেইজিং নগর হয়তো নতুন করে আবিষ্কার করতে শুরু করেছে ভুলে যাওয়া এই খালকে। ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসের সময় এই খালের পাড় ধরে একটা অলিম্পিক পার্ক গড়ে তোলা হয়। গত বছর এই খালের পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘গ্র্যান্ড ক্যানাল ফরেস্ট পার্ক’। গাছ-গাছালি আর পাখ-পাখালিতে ভরা খাল পাড়ের এই উদ্যান এখন অনেক বেইজিংবাসীরই নজর কাড়ছে।


বেইজিং গ্র্যান্ড ক্যানাল কেবল মানুষের বানানো দীর্ঘতম ও প্রাচীনতম পানিপথ কিংবা এককালের সবচেয়ে বড় পুরকৌশল প্রকল্পই নয়, এটা আমাদের ধীরগতির পরিবেশবান্ধব উন্নয়নেরও একটা নমুনা। আজকের দিনে বেইজিংয়ের বুলেট ট্রেন, কিংবা আকাশছোঁয়া সব অট্টালিকা আর পশ্চিমা ধাঁচের উন্নয়নের জোয়ারের আগে সভ্যতার অগ্রযাত্রায় চীনের অনন্য পথচলার কথা মনে করিয়ে দিতে পারে মানুষের বানানো এই খাল। এই নৌপথ যথাযথভাবে সংস্কার করে এখানকার প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করা গেলে মানুষের বানানো এই খালও হয়তো আগামী দুনিয়ায় চীনের বিশাল প্রাচীরের মতোই চীনের গর্ব হয়ে থাকবে।

Saturday, October 4, 2014

গ্যাংগ্রিনে আক্রান্ত কুতুবদিয়ার পঙ্গু কামালের মানবেতর জীবন -সাহায্যের আবেদন by হাছান কুতুবী

পঙ্গু কামাল উদ্দীন (৪০) পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ার দক্ষিণ মগডেইল গ্রামের মৃত আলী আহমদের পুত্র কামাল উদ্দীন ১৯৯২ সালে গ্যাংগ্রিন রোগে আক্রান্ত হন। এর আগে সে মুরগী কেনা-বেচা করে অভাবের সংসার চালাতো। এ রোগে আক্রান্ত হবার এক বছরের মাথায় তার ডান পা হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়। বর্তমানে বাম পায়ের ৪ আঙ্গুলও কেটে ফেলা হয়েছে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, নিয়মিত ঔষধ সেবন না করলে অন্য পাটিও কেটে ফেলতে হবে। নি:স্ব এ পঙ্গু ব্যক্তির বসত-ঘরটি ছাড়া নেই অন্য কোন সহায়-সম্পদ। সে কী ঔষধ খাবে, না ৫ ছেলে সন্তান ও স্ত্রীর ভরন-পোষণ চালাবে এ নিয়ে মারাত্মক দু:খ-কষ্টে কাটছে তার জীবন। এমতাবস্থায় দেশ-বিদেশের সুহৃদ বিত্তবানদের কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন অসহায় পঙ্গ কামাল উদ্দীন। সাহায্য পাঠাতে সোনালী ব্যাঙ্ক কুতুবদিয়া শাখায় তার সঞ্চয়ী একাউন্ট নং-৩২০৪ ও বিকাশ নম্বর-০১৮৩৪৩১৬৬১৪