Thursday, October 30, 2014

অরক্ষিত এলাকায় চলতি শুস্ক মৌসুমে স্থায়ি প্রতিরক্ষাবাঁধ নির্মাণ অনিশ্চিত! অস্তিত্বের সংকটে কুতুবদিয়া by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়া প্রতিরক্ষা বাঁধের বৃহৎ অংশ খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘ড্যামিজ পোল্ডাডার নামে ৫৪ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব (ডিপিপি)’ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে দীর্ঘদিন আগে প্রেরণ করেছে বলে জানা যায়। কিন্তু মন্ত্রণালয় ও একনেক এখনো পর্যন্ত তা অনুমোদন না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত চলতি শুস্ক মৌসুমে স্থায়ি প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিষয়ে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন না করলে দেশের সম্ভাবনাময় কক্সবাজারের দ্বীপ-উপজেলা কুতুবদিয়ার অস্তিত্ব চরম হুমকির মূখে পড়তে পারে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিবেশ বিজ্ঞানী কুতুবদিয়ার চার কৃতি সন্তান সরকারের সাবেক সচিব আ.ন.ম.নাসিরউদ্দীন, ‘নিউজার্সীর মন্মাউথ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোস্যাল সাইন্সের প্রফেসর ও সহযোগী ডিন ড.গোলাম মুহাম্মদ মাতবর, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি এন্ড এনভায়ারমেন্ট সাইন্সের প্রফেসর ড.কামাল হোসাইন এবং জাপানের ওইতা বিশ্ববিদ্যলয়ের তরুণ গবেষক ড. মুহাম্মদ শাহজাহান কুতুবীসহ আরো অনেকে।

কুতুবদিয়ায় বর্ষার আগে চাষাবাদ ও জনবসতি রক্ষায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আপতকালিন জরুরী মাটির বাঁধ এবং শুস্ক মৌসুমে স্থায়ি বাঁধের কাজ হত। কিন্তু গেল বর্ষায় কাজ না হওয়ায় প্রতিরক্ষা বাঁধের বিশাল খোলা অংশ দিয়ে নিয়মিত সামুদ্রিক নুনা জোয়ারের পানি ওঠা-নামা করায় উত্তর ধূরুংসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় হয়নি চাষাবাদ। বসতঘর হারায় কয়েক হাজার মানুষ, বিধ্বস্ত হয় রাস্তা-ঘাট ও লবণ পানিতে ভর্তি হয়ে আছে সমস্ত পুকুর-জলাশয়। ওসব এলাকায় বর্তমানে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি তীব্র সমস্যা দেখা দিয়েছে পানীয় জলের।
৪০ বর্গ কি.মি. দ্বীপরক্ষা বাঁধের মধ্যে পাউবো কর্তৃপক্ষ ৮কি.মি. ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করলেও সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, উত্তর ধূরুং, দক্ষিণ ধূরুং, কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ ও আলী আকবরডেইল এলাকার পশ্চিমে জোয়ার ঠেকানোর মতো বাঁধ নেই এবং দ্বীপের পূর্ব পাশের পুরো এলাকা রয়েছে অরক্ষিত। এ ছাড়া চর ধূরুং ও কাইছার পাড়া এলাকার প্রায় ৫কি.মি. ভাঙা অংশে সিসিব্লক দ্বারা স্থায়ি বাঁধ নির্মাণ করা না হলে খুদিয়ারটেকের মতো গোটা উত্তর ধূরুংও সমুদ্র গর্ভে বিলীন হবার আশঙ্কা করছে উন্নয়ন বিশ্লেষক মহল। জলবায়ুর প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও পাউবো কর্তৃপক্ষের মান্দাতা আমলের ডিজাইনে করা বাঁধে বহু সরকারি অর্থ ব্যয় হলেও ঠেকানো যাচ্ছেনা ভয়াবহ ভাঙন। এ অবস্থায় সমোপযোগি ডিজাইনে মাটির বাঁধের সাথে সিসিব্লক বসালে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহল জানিয়েছেন।

আলীআকবর ডেইল বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পের দক্ষিণ পয়েন্টে গত ১১-১২ অর্থ বছরের ১৬ কোটি টাকার ‘প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ ৩-এ- ১১শ’ মিটার সিসিব্লক দ্বারা প্রতিরক্ষাবাঁধের জন্য প্রায় ৫০ হাজার ব্লক তৈরী করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও ঠিকাদারি সংস্থা মেসার্স আতাউর রহমান (প্রো.আতিক উদ্দিন চৌধূরী ও রেজাউল করিম) রশিটানাটানির কারণে টেন্ডার বাতিল হয়ে যায়। বর্তমানে ওসব ব্লকের অধিকাংশ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিগত চারবছর ধরে ওই খোলা পয়েন্টে নিয়মিত জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়ে তাবালেরচর ও আনিচের ডেইলের প্রায় ১২হাজার হেক্টর ফসলী জমি পরিত্যক্ত হয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে ৪০ হাজার মানুষ। পরে পুন: টেন্ডারে ওই প্যাকেজটি কক্সবাজার উন্নয়ন ইন্টারন্যশনাল পেলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় কাজ শুরু করতে পারেনি। জটিলতা কেটে ওঠলে আগামী নবেম্বরের শেষে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারী সংস্থাটির লীড পার্টনার আতিকুল ইসলাম সিআইপি। একই গ্রামের কাহারপাড়া এলাকায় ২০ চেইন বেড়িবাঁধে মারাত্মক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে আলীআকবর ডেইলসহ উপজেলা সদর বড়ঘোপ চরম অরক্ষিত হয়ে আছে। এদিকে গত মাসের শেষের দিকে ক্ষমতাসিন দলের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে ৬ প্যাকেজে ৫০ লাখ টাকার মাটির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পাউবো’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী এ.টি.এম. মাসুদুর রাব্বী। দ্বীপবাসীর বাঁচা-মরার প্রশ্নে সরকারের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে জানিয়েছেন কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আ.স.ম.শাহরিয়ার চৌধূরী। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়া গেলে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্থায়ি প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন পাউবো কক্সবাজারের নির্বাহি প্রকৌশলী শফিকুল হক।

কুতুবদিয়া উপকূল থেকে তিন কোটি টাকার ইয়াবার চালান উদ্ধার by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়া উপকূল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বিশাল একটি ইয়াবার চালান উদ্ধার করা হয়েছে। সাগরে মাছ ধরার একটি ট্রলারকে সন্দেহমূলকভাবে ধাওয়া করে কোস্টগার্ড। তাড়া খেয়ে বোটটি দ্রুতগতিতে কুতুবদিয়ার দক্ষিণ অমজাখালীর সমুদ্র তীরে এসে পাচারকারিরা ফেলে উপকূলে পালিয়ে যায়। পরে ওই বোটে তল্লাশি করে ৫২ হাজার ৫শ’ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে কোস্টগার্ডের দল। যার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি এবং ট্যাবলেট ও ট্রলার কোথায় কী অবস্থায় রয়েছে তা অবগত নয় বলে জানিয়েছেন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলতাফ হোছাইন। তবে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ মাঝিমাল্লা মনির আহমদ মাঝি (৪৫), সবুজ (২০), আবু কাশেম (৫০), মুহাম্মদ ছাদেক (৩৪), আবুল কালাম (৩২) ও কলিম উল্লাহ (৩০) কে আটক করেছে। এদের মধ্যে একজন বোয়ালখালীর অপর ৫জন গহিরা আনোয়ারা এলাকার বলে থানার এস.আই.বসু মিত্র জানিয়েছেন। অভিযানে ছিলেন কোস্টগার্ড চট্্রগ্রাম পূর্ব জোনের লে.কমান্ডার এম.আশিক মাহমুদ। এদিকে গত ২৭ অক্টোবর কুতুবদিয়া উপজেলা সদর বড়ঘোপ ঝাউবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪শত মিটার প্লাস্টিক রশি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। পরে ওই রশিরও হদিস পাওয়া যায়নি। নৌবাহিনী-কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়হীনতায় চোরাকারবারি চক্র সাগর-উপকূলে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে বলে অপরাধ বিশ্লেষক মহল জানিয়েছেন।

Monday, October 27, 2014

কুতুবদিয়ায় ধূরুং জেটিঘাট সড়কের দৈন্যদশা, জনদুর্ভোগ by হাছান কুতুবী

সংস্কারের অভাবে কুতুবদিয়ার ধূরুং জেটিঘাট ও সংযোগ সড়ক বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এ জনগুরুত্বপূর্ণ জেটিঘাটটি। এতে করে দ্বীপের বৃহত্তম উত্তরজোন ধূরুংবাজারের মালামাল পরিবহণ ও লাখো মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার নাভিশ্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জেটিঘাটটির অবস্থান উত্তর ধূরুং এলাকায় হলেও দক্ষিণ ধূরুং, লেমশীখালীসহ গোটা দ্বীপের মানুষ এ ঘাট হয়ে সহজে যাতায়াত করে চট্টগ্রামে। ঘাটের দক্ষিণে প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ হয়ে লেমশীখালীর মিরাখালী সড়ক। উত্তরে অন্তত: ১৫ চেইন বেড়িবাঁধ হয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার বিশিষ্ট ধূরুং জেটিঘাট সংযোগ সড়কটি অর্ধযুগ আগে কার্পেটিং করা হলেও সংস্কার হয়নি অধ্যাবদি। বর্তমানে রোড ও বেড়িবাঁধের চরম নাজুক অবস্থার কারণে ওই এলাকার সম্পূর্ণ মালামাল ও লবণ দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার উল্টো পথে দরবার জেটিঘাট দিয়ে উঠা-নামা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শাহ্ আলম মধূ। এ ছাড়া বিগত ৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ের পর আইডব্লিউ টিসির নির্মিত জেটিঘাটটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে আবু হেনা সিকদার, মনছুর আলম, সাবেক ইউপি মেম্বার সিরাজদৌল্লাহ, আলী হুসেনসহ আরো অনেকে জানিয়েছেন। পানীয়জল, টয়লেট ও লাইটিং ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রী সাধারণের সমস্যার কথা জানিয়েছেন মাষ্টার মাঈনুদ্দিন দিদার ও মাষ্টার কাইছার আলম। বারংবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনো টনক নড়ছেনা বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সিরাজ-দৌল্লাহ।

Wednesday, October 22, 2014

কুতুবদিয়ায় কৃষি বিভাগের মাঠ দিবস সম্পন্ন by হাছান কুতুবী

চাষাবাদে অধিক ফলন অর্জনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গ্রহন করতে হবে। এ জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের প্রান্তিক চাষীদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। কুতুবদিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বুধবার অনুষ্টিত ক্লাইমেট ফিল্ড স্কুল এর মাঠ দিবসে উপজেলা চেয়ারম্যান এ.টি.এম.নুরুল বশর চৌধূরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। রুপম পালের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, রাজনীতিক মৌলভী মুহাম্মদ তাহের, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, নুরুল আবছারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণ এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিপুল সংখ্যক কৃষক। ডিজস্টার এন্ড ক্লাইমেট ইন এগ্রিকালচার প্রকল্পের অর্থায়নে দক্ষিণ মগডেইল ষ্টেডিয়ামে অনুষ্টিত সভায় কৃষক উদ্বুদ্ধ করণে কৃষি যন্ত্রপাতির বিভিন্ন ষ্টল প্রদর্শিত হয়।

(কুতুবদিয়া ২২-অক্টোবর)

Monday, October 20, 2014

কুতুবদিয়ার চাষাবাদ রক্ষায় এ সময়েই ইমার্জেন্সী ওয়ার্ক! by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ার চর ধূরুংয়ের মাত্র দেড় কিলোমিটার ভাঙ্গা বেড়িবাঁধের কারণে গোটা ইউনিয়নবাসি পথে বসেছে। পুরো বর্ষায় সামুদ্রিক জোয়ার-ভাটার কারণে কৃষকেরা করতে পারেনি চাষাবাদ। বসতঘর হারায় কয়েক হাজার মানুষ। নোনা পানিতে ভর্তি হয়ে আছে সমস্ত পুকুর-জলাশয় ও খাল-বিল। বর্তমানে খাবার ও ব্যবহারের পানির তীব্র সংকট চলছে ওই এলেকায়। যথা সময়ে খোলা বাঁধটি নির্মাণ করলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এতো ক্ষতির শিকার হতোনা বলে উন্নয়ন বিশ্লেষক মহল মনে করেন। বর্ষার চাষাবাদ মৌসুম শেষে গত ১৮ অক্টোবর থেকে ওই এলাকায় বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করলে বিক্ষুব্ধ জনতা বলেন ‘চাষাবাদ রক্ষায় এ সময়ে এটাই কী ইমার্জেন্সী ওয়ার্ক? এ কাজ যেন্ ‘কাটা ঘাঁয়ে লবণ ছিটা’ বলে মনে করছেন তারা।

গত ১৭ আগষ্ট পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও প্রতি মন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক কুতুবদিয়ার দূর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে চাষাবাদ রক্ষায় জরুরী রিঙবাঁধসহ কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ি বাঁধ নির্মাণে সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকার মহা পরিকল্পনার কথা বলেন। মন্ত্রীদ্বয় সফরের প্রায় দু’মাস পর উপজেলার কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে রিঙবাঁধের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জরুরী আর্থ ওয়ার্কের জন্য বরাদ্ধের পরিমাণ স্পষ্ট না জানালেও ক্ষমতাসিন দলের বেশ কয়েকজন নেতার মাধ্যমে এ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সরে জমিনে গিয়ে চর ধূরুংয়ের উত্তরে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ না করে অন্য একটি পয়েন্টে কাজ করতে দেখা গেলেও অপরাপর এলাকায় এখনো কাজ শুরু করেনি। জেলা আ’লীগের সদস্য শফিউল আলম জানিয়েছেন তার অংশের কাজ আজ মঙ্গলবার শেষ হয়ে যাবে। এ ছাড়া পূর্বের টেন্ডার বলবৎ থাকায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ কাইছার পাড়া এলাকায় আর্থ ওয়ার্ক হচ্ছেনা বলে জানা গেছে। ফলে আগামী চাঁদের ১০ তারিখ থেকে পূর্ণিমার চোরা জোয়ারে গোটা এলাকা আবারো তলিয়ে যাবার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। ফলে ওই এলাকায় লবণ চাষও মারাত্মক হুমকির মাঝে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করবে বলে জানিয়েছেন পাউবোর কক্সবাজার জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল হক।

(২০-অক্টোবর)

Friday, October 10, 2014

কুতুবদিয়ায় স্টুডেন্ট’স ইউনিফিকেশনের কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা by হাছান কুতুবী

শিক্ষার্থীদের জ্ঞান নির্ভর শিক্ষা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। না হয় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রতিষ্টিত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ জন্য শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। স্টুডেন্ট’স ইউনিফিকেশন’র উদ্যোগে উপজেলার কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সভায় মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি এস.এম.আর. আরেফীন রিমন’র সভাপতিত্বে কুতুবদিয়া হাইস্কুল ময়দানে অনুষ্টিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আ.লীগের প্রবীণ নেতা এড.ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী। জেলা আ.লীগের অপর প্রবীণ নেতা শফিউল আলম সভা উদ্বোধন করেন। উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ কুতুবী, সাধারণ সম্পাদক নুরুচ ছাফা, মাদ্রাসা সুপার মাওলানা নুরুজ্জামান হেলালী, মাওলানা মোরশেদুল মান্নান, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও জেলা সদস্য আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিগণ এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। সংগঠনের পক্ষে মিজানুর ও ওয়াহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। রিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শাব্বির আহমদ শাহীন বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথি এসএসসি. দাখিল. এইস.এসসি. আলিম পরীক্ষায় এ+প্রাপ্ত ও ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে দ্বীপ শিখা ম্যাগাজিন, সনদ, নগদ টাকা ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন। এ ছাড়া কুতুবদিয়া হাইস্কুল, আলী আকবর ডেইল হাইস্কুল ও বড়ঘোপ ফাজিল মাদ্রাসাকে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্টান ও কুতুব আউলিয়া কিন্ডার গার্ডেন স্কুলকে সর্বোচ্চ বৃত্তিপাপ্ত প্রতিষ্টান হিসাবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে এমপিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

Monday, October 6, 2014

মানুষের বানানো প্রাচীনতম ও দীর্ঘতম পানিপথ

চীনের ইতিহাসে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা কমই আছে: মানুষের বানানো পৃথিবীর দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে প্রাচীনতম পানিপথ এটা, যা সুয়েজ খালের চেয়ে ৯ গুণ দীর্ঘ। এই খাল কাটা না হলে বেইজিং হয়তো কখনোই চীনের রাজধানী হয়ে উঠত না। আর এই খাল ছাড়া হয়তো চীন-ই চীন হয়ে উঠত না! এমন আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ কারণেই দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ‘বেইজিং গ্র্যান্ড ক্যানাল’ বা ‘বেইজিংয়ের বড় খাল’-কে এ বছরের জুন মাসে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেসকো। সরেজমিন ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে এক ফটো ফিচারে এ সম্পর্কে জানিয়েছেন বিবিসির আমান্দা রুগেরি।

এ প্রজন্মের ‘বেইজিংগার’ বা বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে অল্প কিছু লোক যদিও বা বড় খাল ঘুরে দেখে থাকেন, তাহলে তার চেয়ে আরও কম পর্যটকই তা দেখেছেন। অবশ্য এই বড় খাল দক্ষিণ চীনে তুলনামূলকভাবে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। সেখানে প্রমোদতরি আর বার্জগুলো এখনো ২ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো এই নৌপথে চলাচল করে। কিন্তু অনেক বেইজিংগারই জানেন না যে, তিয়েনআনমেন স্কয়ারের ৩৫ কিলোমিটার দূরে বেইজিংয়ের তোংঝু উপশহর থেকে শুরু হওয়া এই হাতে কাটা খাল ১ হাজার ৭৯৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পূর্ব-চীনের ঝেইজিয়াং প্রদেশের রাজধানী হাংঝোও পর্যন্ত বিস্তৃত।

বেইজিংয়ের এই বড় খাল কাটতে কাটতে পেরিয়ে গেছে প্রায় ১৮০০ বছর। যে লাখ লাখ শ্রমিক এই খাল কাটতে গিয়ে জীবনতিপাত করেছেন, দুনিয়ার আর কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভবত এত মানবসম্পদ কাজে লাগাতে হয়নি। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮৬ সালে এই খাল কাটার কাজ শুরু হয়। ৬০৫ সালের দিকে চীনের এক সাবেক রাজধানী লুয়োইয়াং থেকে কিংঝিয়াং পর্যন্ত এক হাজার কিলোমিটারের মতো খাল কাটা শেষ হয়েছিল। এর পাঁচ বছর পর ঝেনজিয়াং থেকে হাংঝোও পর্যন্ত আরও ৪০০ কিলোমিটার খাল কাটা শেষ হয়।

মানুষের বানানো এই দীর্ঘতম পানিপথে আরও জল গড়ানো বাকি ছিল তখনো। ৬১০ সালের দিকে এই খাল পৌঁছে যায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে। অন্ততপক্ষে ৩০ লাখ কৃষককে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল এখানে। ধারণা করা হয়ে থাকে, এই কৃষক-শ্রমিকদের অর্ধেকেরও বেশি কঠোর পরিশ্রম আর অনাহারে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু কুবলাই খান যখন ১২৭১ সালে কাইফেং বা লুয়োইয়াং থেকে রাজধানী স্থানান্তর করে বেইজিংয়ে নিয়ে আসেন, তখন আগের চেয়ে আরও বেশি কৃষক-শ্রমিককে জীবন উৎসর্গ করতে হয় এই খাল কাটার জন্য। এখনকার বেইজিং-হাংঝোও নৌপথের রূপ দিতে আরও ৪০০ কিলোমিটার খাল কাটতে হয়। সে সময় ১০ বছরে অন্তত ৪০ লাখ মানুষ কাজ করেন কুবলাই খানের নতুন রাজধানীকে আরও সরাসরি এই খালে যুক্ত করতে। ইউনেসকোর ভাষ্য অনুযায়ী, বেইজিং গ্র্যান্ড ক্যানাল ‘শিল্প বিপ্লবের আগে বাস্তবায়িত দুনিয়ার সবচেয়ে বড় এবং সুপরিসর পুর-কৌশল প্রকল্প’।

প্রাচীন চীন সাম্রাজ্যের জন্য নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই এত সাধনায় বাস্তবায়ন করা হয়েছিল এই খাল কাটা। নাগরিকদের খাদ্যনিরাপত্তা তার মধ্যে অন্যতম। ইয়াংসি অববাহিকা চীনের রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত হলেও খোদ ইয়াংসি নদীই পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত। কিন্তু শাসকেরা জানেন, ক্ষুধার্ত জনগণই বিদ্রোহ করে বসে আর না-খাওয়া সৈনিকেরা কোনো কাজে আসে না। ফলে এই খাল কাটার মধ্য দিয়ে চীনের শাসকেরা ইয়াংসি থেকে হলুদ নদী হোয়াংহো পর্যন্ত চাল বোঝাই নৌকা চলাচলের সুযোগ করে দিতে পেরেছিলেন। এই অববাহিকায় উৎপাদিত চালের মতোই উত্তর চীনে উৎপাদিত গমও এই নৌপথ দিয়েই দক্ষিণ চীনে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি আরও কিছু ছোট ছোট খাল-নদীতে যুক্ত হয়ে এই নৌ-পথ রাজধানী বেইজিংকে ঘিরে চীনে উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম যোগাযোগ, পণ্য পরিবহন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান অবলম্বন হয়ে ওঠে।
যেকোনোও মহৎ সৃষ্টিই যেমন সৃজনের পথকে আরও প্রসারিত করে, ঠিক তেমনটাই ঘটেছে বেইজিং বড় খালের ক্ষেত্রে। ৫৮৭ সালেই সুই সাম্রাজ্যের শাসনামলে এই খালে দুনিয়ার প্রথম ‘লক গেট’ বানানো হয়েছিল। হোয়াংহো নদীর সঙ্গে এই খালের সংযোগ পথে পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য এমন গেট বসিয়েছিলেন প্রকৌশলী লিয়াং রুই। ৯৮৪ সালে আরেক প্রকৌশলী কিয়াও উইয়েও এই খালে প্রথম ‘পাউন্ড লক’ বানান। আধুনিক পানি-প্রযুক্তিতে অনেক খালেই আমরা এমন ধরনের ব্যবস্থা দেখি। এতে দুই পাশে ঘের দিয়ে একটা নিরাপদ পুকুরের মতো তৈরি করা হয় এবং পানির উচ্চতা কমে-বেড়ে স্থির না হওয়া পর্যন্ত নৌকাগুলো সেখানে অপেক্ষা করতে পারে। ১৯৭৩ সালে ইউরোপে প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় নেদারল্যান্ডসের ভ্রিসভিকে।

১৯ শতকে চীনে রেলপথের প্রসারের পর থেকেই এই নৌপথের গুরুত্ব কমতে থাকে। গ্র্যান্ড ক্যানালের অনেক ছোট ছোট সংযোগ খালের সংস্কারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ১৯৫৮ সালে মূল খালে একটা বড় ধরনের সংস্কারকাজ করা হয়। সে সময় থেকেই দক্ষিণ চীনে গুরুত্বের সঙ্গে নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা। অতি সম্প্রতি বেইজিং নগর হয়তো নতুন করে আবিষ্কার করতে শুরু করেছে ভুলে যাওয়া এই খালকে। ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসের সময় এই খালের পাড় ধরে একটা অলিম্পিক পার্ক গড়ে তোলা হয়। গত বছর এই খালের পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘গ্র্যান্ড ক্যানাল ফরেস্ট পার্ক’। গাছ-গাছালি আর পাখ-পাখালিতে ভরা খাল পাড়ের এই উদ্যান এখন অনেক বেইজিংবাসীরই নজর কাড়ছে।


বেইজিং গ্র্যান্ড ক্যানাল কেবল মানুষের বানানো দীর্ঘতম ও প্রাচীনতম পানিপথ কিংবা এককালের সবচেয়ে বড় পুরকৌশল প্রকল্পই নয়, এটা আমাদের ধীরগতির পরিবেশবান্ধব উন্নয়নেরও একটা নমুনা। আজকের দিনে বেইজিংয়ের বুলেট ট্রেন, কিংবা আকাশছোঁয়া সব অট্টালিকা আর পশ্চিমা ধাঁচের উন্নয়নের জোয়ারের আগে সভ্যতার অগ্রযাত্রায় চীনের অনন্য পথচলার কথা মনে করিয়ে দিতে পারে মানুষের বানানো এই খাল। এই নৌপথ যথাযথভাবে সংস্কার করে এখানকার প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করা গেলে মানুষের বানানো এই খালও হয়তো আগামী দুনিয়ায় চীনের বিশাল প্রাচীরের মতোই চীনের গর্ব হয়ে থাকবে।

Saturday, October 4, 2014

গ্যাংগ্রিনে আক্রান্ত কুতুবদিয়ার পঙ্গু কামালের মানবেতর জীবন -সাহায্যের আবেদন by হাছান কুতুবী

পঙ্গু কামাল উদ্দীন (৪০) পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ার দক্ষিণ মগডেইল গ্রামের মৃত আলী আহমদের পুত্র কামাল উদ্দীন ১৯৯২ সালে গ্যাংগ্রিন রোগে আক্রান্ত হন। এর আগে সে মুরগী কেনা-বেচা করে অভাবের সংসার চালাতো। এ রোগে আক্রান্ত হবার এক বছরের মাথায় তার ডান পা হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়। বর্তমানে বাম পায়ের ৪ আঙ্গুলও কেটে ফেলা হয়েছে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, নিয়মিত ঔষধ সেবন না করলে অন্য পাটিও কেটে ফেলতে হবে। নি:স্ব এ পঙ্গু ব্যক্তির বসত-ঘরটি ছাড়া নেই অন্য কোন সহায়-সম্পদ। সে কী ঔষধ খাবে, না ৫ ছেলে সন্তান ও স্ত্রীর ভরন-পোষণ চালাবে এ নিয়ে মারাত্মক দু:খ-কষ্টে কাটছে তার জীবন। এমতাবস্থায় দেশ-বিদেশের সুহৃদ বিত্তবানদের কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন অসহায় পঙ্গ কামাল উদ্দীন। সাহায্য পাঠাতে সোনালী ব্যাঙ্ক কুতুবদিয়া শাখায় তার সঞ্চয়ী একাউন্ট নং-৩২০৪ ও বিকাশ নম্বর-০১৮৩৪৩১৬৬১৪

উৎসব মূখর পরিবেশে কুতুবদিয়ায় প্রতিমা বিসর্জন ও বস্ত্র বিতরণ by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দূর্গা উৎসব সম্পন্ন হয়। ধর্মীয় ভাব গাম্বির্য পরিবেশে ১২টি প্রতিমা ও ২৬টি ঘট পূজায় ৫দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্টান শেষে শনিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্টানে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার হাজার হাজার নারী-পূরুষ অংশগ্রহন করেন। এতে স্থানীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক’র পক্ষ থেকে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। কুতুবদিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক সমীর কান্তি দাশ’র সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ ছাফা প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথিদের মাঝে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম মাতবর, মানবাধিকার কমিশন কুতুবদিয়া শাখার সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম চৌধূরী মুকুল, ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ খান চৌধূরী, প্রেস ক্লাব’র সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার বিমল কান্তি শীল ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মাষ্টার সমীর শীল উপস্থিত ছিলেন। পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা.রাজীব শীল’র সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় মাষ্টার রনজিৎ দাশসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। এতে পুরোহিত রতন চক্রবর্ত্তী, সুজন চক্রবর্ত্তী, উৎপল শর্মা, বাদল আচার্য্য, ডা.সুধীর শীল, মাষ্টার বিমল দাশ, সাধন শীল, বাদল শীল, বন্ধন সরকার, চন্দন দাশ, শঙ্কর সরকার, অরুন দাশ, কালি দাশ, অধীর দাশ, খোকন শীল, শঙ্কর শীল, বজ হরি দাশ, শুধাংশু দাশ, সুজন দাশ, সজল দাশ, বাবলু পাল, মিলন দাশসহ বহু গন্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।