
বায়ু
ও সোলার চালিত দু’টি বে-সরকারী কোম্পানী আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ ১১শ’
কিলোওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করতে যাচ্ছে কুতুবদিয়ায়। এছাড়াও বিদ্যুত উন্নয়ন
বোর্ড (পিডিবি)’র পুরাতন সিষ্টেমের পরিবর্তে একটি শক্তিশালী জেনারেটর
স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে
কুতুবদিয়ায় বিদ্যুত বন্ধ থাকার পর হঠাৎ বিদ্যুত সরবরাহের এ খবর কতটুকু
ফলপ্রসু হবে তা চালু হলেই বুঝা যাবে বলে গ্রাহকরা মনে করেন।
৫০টি
টারবাইনের সাহায্যে ১ হাজার কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন উইং ব্যাটারী
(দেশের সর্ববৃহৎ বায়ু বিদ্যুত পাইলট প্রকল্প) প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস
লিমিটেড ও ১শ’ কিলোওয়াট মিনি গ্রীড পাওয়ার ষ্টেশন (সোলার) গ্রীণ হাউজিং
এন্ড এনার্জি লিমিটেড শিঘ্রই বিদ্যুত সরবরাহ করবে বলে জানা গেছে। এদিকে ৬৬
কোটি টাকার একটি প্রকপ্ল বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিডিবির
নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান।
সরকারী ও বে-সরকারী খাতে কোটি
কোটি টাকা ব্যয় করলেও অনিয়ম, অব্যবস্থপনা ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের সুফল
পাচ্ছেনা কুতুবদিয়ার পৌনে দু’লাখ মানুষ। এতে করে দেশের অপার সম্ভাবনাময়
দ্বীপটি যুগের পর যুগ অন্ধকারে থাকায় উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে। আশির দশকে
পিডিবি কাটারপিলার ও ড্যানিস নামের দু’টি জেনারেটর স্থাপন করে সন্ধ্যা ৬টা
থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শুধু মাত্র উপজেলা সদরেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করতো। তাও
আবার কর্তা ব্যক্তিদের মর্জির ওপর নির্ভর ছিলো। ৯১’র ঘূর্ণিঝড়ে জেনারেটর ও
বিদ্যুত লাইন বিনষ্ট হয়ে গেলে পরবর্তীতে সাড়ে ৪শ’ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন
‘কামিন্স’ নামের আরো একটি অত্যাধুনিক জেনারেটরসহ দ্বীপের ৫ ইউনিয়নের প্রায়
এলাকায় নতুনভাবে লাইন টেনেও বিদ্যুত সরবরাহ দিতে পারেনি। বর্তমানে
অযতœ-অবহেলায় ওই জেনরেটরটিসহ কোটি কোটি টাকার সরকারী সম্পদ বিনষ্ট ও চুরি
হয়ে যাচ্ছে।

অপরদিকে
২০০৭ সনে প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে
দ্বীপের দক্ষিণ আলীআকবর ডেইলস্থ সমুদ্র পাড়ে একটি বায়ু বিদ্যুত স্থাপন করে
অল্প সময়ের মধ্যে তা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা প্রকল্পটি ৫ কোটি
টাকা ব্যয়ে পুন: সংস্কার কাজ সম্পন্ন এবং আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যুত
সরবরাহের কথা নিশ্চিত করেন প্রকল্প পরিচালক ফজলুর রহমান। গ্রীণ হাউজিং
এন্ড এনার্জি লিমিটেড উপজেলার লেমশীখালীর আকবর আলী সিকদার পাড়ায় সৌর চালিত
১শ’ কিলোওয়াট মিনি গ্রীড পাওয়ার ষ্টেশন প্রকল্প ব্যয় জানাতে অপারগতা
প্রকাশ করলেও আগামী মাসে প্রায় আড়াইশ’ গ্রাহকের মাঝে বিদ্যুত সরবরাহের কথা
নিশ্চিত করেন ম্যানেজার মিলটন।
কম খরচে কুতুবদিয়া চ্যানেলের তল-দেশ দিয়ে
ম্যারিন ক্যাবলের সাহায্যে বাঁশখালীর ছনুয়া থেকে জাতীয় গ্রীড লাইন
বিদ্যুতায়ন সহজ বলে বিশেষজ্ঞ মতামতে জানা গেছে। এটি দ্বীপবাসীর প্রাণের
দাবীও ছিলো দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টিকে এড়িয়ে সরকারী অদুরদর্শি পরিকল্পনার
সুযোগে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বেশ কিছু কোম্পনী চড়ামূল্যে নিম্নমানের
সৌর-বিদ্যুত সরবরাহ করে গ্রাহক ঠকানোর অভিযোগ রয়েছে।
Comments[ 0 ]
Post a Comment