


কক্সবাজারের
কুতুবদিয়ায় কাজের মেয়ে তহমিনা বেগম প্রকাশ ফেরদৌস (১৫) খুনের ৯দিন পর
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় গর্ত থেকে পলিথিন ও কাঁথা মুড়ানো অর্ধগলিত লাশ
উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং
মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
মমিনুর রশিদ ও থানা ওসি আলতাফ হোছাইনসহ পুলিশ-আনসার ব্যাটিলিয়ন উদ্ধার
অভিযানে ছিলেন। ২২ ডিসেম্বর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বড়ঘোপ মগডেইলের গিয়াস
উদ্দিনের ঘাতক স্ত্রী নিলুফা আখতার (৪৫) ও তার সহযোগি চকরিয়া উপজেলার
ঢেমুশিয়া ৮নম্বর ওয়ার্ডের শাহাদত হোছাইনের পুত্র বেলাল উদ্দিন (৩০) কে
পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ২২ ঘন্টার মধ্যে ঘাতকসহ লাশ উদ্ধারে পুলিশী ভূমিকার
ভূয়শী প্রশংসা করেন ইউএনওসহ স্থানীয়রা। ঘাতকদের স্বীকারুক্তি মতে লাশ
উদ্ধারে বাড়ীর আশ-পাশে ব্যাপক তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে
দু’দিন ধরে জনতার প্রচন্ড ভীড়সহ আতংক ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। ঘাতক গৃহকত্রী
১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় ওই কাজের মেয়েকে হত্যা করে রাত ১১টায় বেলাল উদ্দিন ও
স্থানীয় কালু মিয়ার পুত্র ছাবের আহমদ (৩৫) এর সহযোগিতায় পাশের ভরাট
পুকুরের কোণায় মাটির নীচে চাঁপা দিয়ে রাখে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।
মেয়েটির বাড়ী লেমশীখালী আশা হাজীর পাড়ায় বলে জানা গেলেও তার সঠিক কোন তথ্য
পাওয়া যায়নি। মেয়েটি ওই বাড়ীতে বিগত ১০/১১ বছর ধরে ঝিয়ের কাজ করছিল বলে
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
Comments[ 0 ]
Post a Comment