Monday, September 22, 2014

কুতুবদিয়ার এই দৃশ্য কি বলে??

হাজার হাজার পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হতে পারত কুতুবদিয়াও... যদি... কুতুবদিয়ার এই দৃশ্য কি বলে??
ছবিঃ হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ায় শিগগিরই চালু হচ্ছে বায়ু বিদ্যুত by হাছান কুতুবী

বায়ু ও সোলার চালিত দু’টি বে-সরকারী কোম্পানী আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ ১১শ’ কিলোওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করতে যাচ্ছে কুতুবদিয়ায়। এছাড়াও বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)’র পুরাতন সিষ্টেমের পরিবর্তে একটি শক্তিশালী জেনারেটর স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুত বন্ধ থাকার পর হঠাৎ বিদ্যুত সরবরাহের এ খবর কতটুকু ফলপ্রসু হবে তা চালু হলেই বুঝা যাবে বলে গ্রাহকরা মনে করেন।
৫০টি টারবাইনের সাহায্যে ১ হাজার কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন উইং ব্যাটারী (দেশের সর্ববৃহৎ বায়ু বিদ্যুত পাইলট প্রকল্প) প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড ও ১শ’ কিলোওয়াট মিনি গ্রীড পাওয়ার ষ্টেশন (সোলার) গ্রীণ হাউজিং এন্ড এনার্জি  লিমিটেড শিঘ্রই বিদ্যুত সরবরাহ করবে বলে জানা গেছে। এদিকে ৬৬ কোটি টাকার একটি প্রকপ্ল বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান।
সরকারী ও বে-সরকারী খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও অনিয়ম, অব্যবস্থপনা ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের সুফল পাচ্ছেনা কুতুবদিয়ার পৌনে দু’লাখ মানুষ। এতে করে দেশের অপার সম্ভাবনাময় দ্বীপটি যুগের পর যুগ অন্ধকারে থাকায় উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে। আশির দশকে পিডিবি কাটারপিলার ও ড্যানিস নামের দু’টি জেনারেটর স্থাপন করে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শুধু মাত্র উপজেলা সদরেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করতো। তাও আবার কর্তা ব্যক্তিদের মর্জির ওপর নির্ভর ছিলো। ৯১’র ঘূর্ণিঝড়ে জেনারেটর ও বিদ্যুত লাইন বিনষ্ট হয়ে গেলে পরবর্তীতে সাড়ে ৪শ’ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ‘কামিন্স’ নামের আরো একটি অত্যাধুনিক জেনারেটরসহ দ্বীপের ৫ ইউনিয়নের প্রায় এলাকায় নতুনভাবে লাইন টেনেও বিদ্যুত সরবরাহ দিতে পারেনি। বর্তমানে অযতœ-অবহেলায় ওই জেনরেটরটিসহ কোটি কোটি টাকার সরকারী সম্পদ বিনষ্ট ও চুরি হয়ে যাচ্ছে।

অপরদিকে ২০০৭ সনে প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বীপের দক্ষিণ আলীআকবর ডেইলস্থ সমুদ্র পাড়ে একটি বায়ু বিদ্যুত স্থাপন করে অল্প সময়ের মধ্যে তা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা প্রকল্পটি ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পুন: সংস্কার কাজ সম্পন্ন এবং আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যুত সরবরাহের কথা নিশ্চিত করেন প্রকল্প পরিচালক ফজলুর রহমান। গ্রীণ হাউজিং এন্ড এনার্জি  লিমিটেড উপজেলার লেমশীখালীর আকবর আলী সিকদার পাড়ায় সৌর চালিত ১শ’ কিলোওয়াট মিনি গ্রীড পাওয়ার ষ্টেশন প্রকল্প ব্যয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করলেও আগামী মাসে প্রায় আড়াইশ’ গ্রাহকের মাঝে বিদ্যুত সরবরাহের কথা নিশ্চিত করেন ম্যানেজার মিলটন।
কম খরচে কুতুবদিয়া চ্যানেলের তল-দেশ দিয়ে ম্যারিন ক্যাবলের সাহায্যে বাঁশখালীর ছনুয়া থেকে জাতীয় গ্রীড লাইন বিদ্যুতায়ন সহজ বলে বিশেষজ্ঞ মতামতে জানা গেছে। এটি দ্বীপবাসীর প্রাণের দাবীও ছিলো দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টিকে এড়িয়ে সরকারী অদুরদর্শি পরিকল্পনার সুযোগে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বেশ কিছু কোম্পনী চড়ামূল্যে নিম্নমানের সৌর-বিদ্যুত সরবরাহ করে গ্রাহক ঠকানোর অভিযোগ রয়েছে।

Friday, September 19, 2014

কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ভবনের নির্মাণ কাজে অর্থ সঙ্কট by হাছান কুতুবী

১৯১০ খ্রীষ্টাব্ধে প্রতিষ্টিত কুতুবদিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। কমিটির সেক্রেটারীর আপ্রাণ প্রচেষ্টা ও স্থানীয়দের সাহায্য-সহযোগিতায় দ্বিতীয় তলার দেয়াল পর্যন্ত কাজ হলেও উপজেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক প্রাচীণ এ মসজিদটির সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ করতে অন্তত: কোটি টাকার প্রয়োজন। পবিত্র এ মসজিদ নির্মাণে জরুরী ভিত্তিতে সরকারী সাহায্যসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন মুসল্লিরা।
সুরম্য মসজিটির অবস্থান উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে হলেও গোটা দ্বীপের মুসল্লিরা নিয়মিত নামাজ-দোওয়া আদায় করতে সমাগম হয়। সংযুক্ত আরব-আমিরাতের একটি ইসলামিক সংস্থার সহযোগিতায় নির্মাণ কাজ শুরু হয় বিগত দু’বছর আগে। সম্পূর্ণ টাইলস্ প্রতি-স্থাপিত ২৫শ’ বর্গফুট বিশিষ্ট মসজিদটির নীচ তলার কাজ সম্পন্ন হয়। এতে মুসল্লিদের ধারণ ক্ষমতার তীব্র সঙ্কট দেখা দিলে মসজিদ কমিটি দ্বিতলের কাজ শুরু করে বর্তমানে দেয়াল পর্যন্ত শেষ করেছে। ছাদসহ পুরো কাজ সম্পন্ন করতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দৈনিক জনকন্ঠের চট্রগ্রাম ব্যুরোচিফ কুতুবদিয়ার কৃতি সন্তান সাংবাদিক মোয়াজ্জেমুল হক বাবুল। এ পর্যন্ত বিদেশী সাহায্য সংস্থার ১০ লাখ, জেলা পরিষদের ৫০ হাজার, বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের ৪০ হাজারসহ স্থানীয়দের দানে মোট ৩৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী ও কুতুবদিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আ.ন.ম.শহীদউদ্দিন ছোটন।

Thursday, September 18, 2014

কুতুবদিয়ায় জরুরী রিঙবাঁধ নির্মাণে ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ! by হাছান কুতুবী

সংবাদ পত্রে ধারাবাহিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর বর্ষার শেষ পর্যায়ে কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশের রিঙবাঁধ নির্মাণের জন্য অবশেষে ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। চর ধূরুং ও কাইছার পাড়া এলাকার দু’টি পয়েন্ট দিয়ে নিয়মিত জোয়ার-ভাটার কারণে উপজেলার উত্তর ধুরুংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় গেল বর্ষায় আউশ-আমনের ফসল ফলাতে পারেনি কৃষকেরা। ফলে ওই এলাকার প্রায় দেড় হাজার হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়ে অন্তত: ৪০ হাজার মানুষ মারাত্মক খাদ্য সঙ্কটের শিকার হয়েছে। বর্ষার শুরুতে দ্রুত রিঙবাঁধের ব্যবস্থা নেয়া হলে ওই এলাকায় চাষাবাদ করা যেত। পক্ষান্তরে অপচয় হতোনা সরকারী অর্থেরও। এ অবস্থায় বরাদ্ধকৃত টাকার কাজ কেবা কারা কখন বাস্তবায়ন করছে এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও প্রতি মন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক গত ১৭ আগষ্ট কুতুবদিয়ার দূর্গত এলাকা সফরকালে বিধ্বস্থ বাঁধ পুণ:নির্মাণ-সংস্কার কাজ যথাসময়ে শেষ না করায় পাউবোর কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দায়ি করেছিলেন। পিকআওয়ারে কাজ শেষ হলে সরকারের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জল হতো তেমনিভাবে এলাকাবাসীও নিরাপদে থাকতো বলে খোদ মন্ত্রীগণই মন্তব্য করেন। এ সময় মন্ত্রীদ্বয় বর্ষায় জোয়ার ঠেকাতে জরুরী রিঙবাঁধসহ স্থায়ী বেড়িবাঁধের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বস্থ করেছিলেন দ্বীপবাসীকে। কিন্তু দীর্ঘ একমাস পর ৩৫ লাখ টাকায় রিঙবাঁধ নির্মাণকাজ রাজনৈতিকভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাউবোর কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বুধবার বেড়িবাঁধের ভাঙগা অংশ পরিদর্শন করেন। বর্ষাজুড়ে জোয়ার-ভাটার কারণে উত্তর ধূরুং এলাকায় হয়নি চাষাবাদ। বিধ্বস্থ অবস্থায় পড়ে আছে সহ¯্রাধিক বসতঘর। লবণ পানিতে ডুবে রয়েছে কয়েক হাজার পুকুর-জলাশয়। ধূ-ধূ মরুভূমিতে পড়ে আছে মাঠের পর মাঠ। নি:স্ব বেকারত্বের শিকার হয়ে চরম অভাব-অনটনে ভোগছে হাজার হাজার মানুষ। গেলো মৌসুমে লবণের দাম না থাকায় স্বর্ণালঙ্কারসহ সুদি টাকা নিয়ে চাষে নেমেছিলেন দূর্গত এলাকা উত্তর ধূরুংয়ের বর্গাচাষী জাকের হোছাইন, ছাবের আহমদ, এয়ার মোহাম্মদ, জাফর আহমদ, হাবিব উল্লাহ, আবু ছৈয়দ, রিদোয়ান, আবদুল খালেক, মীর কাশেম, আখতার আহমদ, নুরুল হুদা, মোজাম্মেল, আবদুল জলিল, শফিউল্লাহ, কালু মাঝি ও আবদুল মোনাফসহ আরো অনেকেই। কিন্তু চাষাবাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হালের গরু, পাওয়ারটিলারসহ কৃষি সরঞ্জামাদি বিক্রি করে সংসার চালানো ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই বলে তারা জানিয়েছেন। দক্ষিণ ধূরুংয়ের বর্গাচাষী নুরুল হুদা, লেমশীখালীর মুহাম্মদ হুসেন, কৈয়ারবিলের শামশুল আলম, বড়ঘোপের আখতার হুসেন ও আলীআকবর ডেইলের ছালেহ আহমদস আরো অনেকে জানান, ৭১ নম্বর পোল্ডার গোটা ™¦ীপের ৪০ বর্গ কি.মি. বেড়িবাঁধের প্রায় ১৫/২০ কি.মি. খোলাসহ মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকায় তারা শঙ্কিত। জরুরী আর্থওয়ার্কের ৩৫ লাখ টাকার রিঙবাঁধ নির্মাণ কাজ স্থানীয় এমপির পরামর্শক্রমে কম সময়ের মধ্যে (জিপিএম প্রসেসে) শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে.এম.শফিকুল হক।

Thursday, September 11, 2014

সরাসরি রাজনীতিতে ন্যান্সি

বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি মনোনীত হয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি। আর এর মাধ্যমে সরাসরি রাজনীতিতে নাম লেখালেন তিনি। দুপুরে তিনি এ খবর নিশ্চিত করেন মানবজমিন অনলাইনকে। ন্যান্সি বলেন, বিএনপির আদর্শের প্রতি আমার ভালো লাগা অনেক আগে থেকেই। এর জন্য আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে গেল কয়েক মাস ধরে। তিনি আরও বলেন, আমার মা নেত্রকোনা জাসাসের কর্মকা-ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি মনে করি শিল্পী ন্যান্সি সবার। শ্রোতাদের কারণেই আমি ন্যান্সি হয়েছি। তার মানে এই নয় যে, শিল্পী ন্যান্সির কারণে মানুষ হিসেবে আমার কোন ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক মতামত থাকতে পারে না।