কুতুবদিয়ায় দূর্বৃত্তের হাতে এক শিশুসহ
তিন সন্তানের জননী খুন হয়েছেন।বুধবার ২৩ এপ্রিল সকালে কুতুবদিয়া দ্বীপের
বড়ঘোপ ইউনিয়নের দক্ষিণ মগডেইল গ্রামের একটি ছোট পুকুর থেকে কবির হোসেনের
স্ত্রী ও নুরুজ্জামানের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৫) তার পুত্র মোঃ বাপ্পি
(২) কে মৃত অবস্থায় এলাকাবাসি উদ্ধার করে। ঘটনাটি স্থানীয় ইউপির সদস্য আবুল
কালাম কুতুবদিয়া থানাকে খবর দিলে পুলিশ লাশ দুইটি উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল
রির্পোট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ
করে।
এলাকাবাসি
ও পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, গতকাল বুধবার সকালে ঐ এলাকার সিরাজুল ইসলামের
স্ত্রী নুর খাতুন ধান ক্ষেতের মধ্যে মৃত জান্নাতুল ফেরদৌসের বাড়ির পাশে
মরিচ ক্ষেতে গেলে ছোট একটি পুকুরে জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার পুত্র বাপ্পিকে
মৃত অবস্থায় পানিতে ভাসতে দেখে। এ খবর এলাকাবাসীকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে
মা ও পুত্রকে উদ্ধার করে। স্থানীয় ইউপির সদস্য আবুল কালাম জানান,
দূর্বৃত্তরা জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার সন্তান বাপ্পিকে হত্যা করতে পারে এমন
ধারণা করছে। এদিকে জান্নাতুল ফেরদৌসের গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে এবং শরীরে
আচড়ের দাগ রয়েছে। জান্নাতুল ফেরদৌস আর স্বামীর সাথে বিবাহের পর থেকে
পারিবারিক কলহে দাম্পত্য জীবনে চরম অসান্তি লেগে থাকতো। স্বামীর নির্যাতন
সহ্য করতে না পেয়ে গত তিন বছর পূর্বে স্বামী কবির হোসেনের বিরুদ্ধে
কুতুবদিয়া আদালতে নারী নির্যাতন মামলা রুজ করলে আদালত তার স্বামী কবির
হোসেনকে দুই বছরের সাজা দেয়। এ মামলায় কবির হোসেন গত ১৪ জানুয়ারী থানা
পুলিশ কর্তৃক আটক হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে আছে। অবশ্য জান্নাতুল ফেরদৌসের
প্রথম সন্তান মাহামুদুল ইসলাম (১০) আকিব (৭) দাদার বাড়ি আলী আকবর ডেইল
ইউনিয়নের হায়দর বাপের পাড়ার মোঃ পেঠানের বাড়িতে থাকেন। জান্নাতুল ফেরদৌস
তৃতীয় সন্তান বাপ্পিকে নিয়ে দক্ষিণ মগডেইল এলাকার ঐ ঘরে বসবাস করত।
এ
ব্যাপারে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাবা নুরুজ্জামান বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে
গতকাল বুধবার কুতুবদিয়া থানায় হত্যা মামলা রুজু করেন। কুতুবদিয়া থানার
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার
পূর্বক হত্যা মামলা রুজু করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের
মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments[ 0 ]
Post a Comment