Sunday, November 30, 2014

বায়ু বিদ্যুতের প্রতারণায় জাতীয় গ্রীড থেকে বঞ্চিত কুতুবদিয়াবাসী- পিডিবি ও বায়ু বিদ্যুত কোম্পানীর রশিটানাটানি by হাছান কুতুবী

বিদ্যুত সমস্যা কুতুবদিয়ার মানুষকে আর কতকাল ভোগাবে বিধাতাই জানেন। যতসব আশ্বাস সবই যেন গুড়েবালি। বিদ্যুতের আশা কুতুবদিয়াবাসীর যেন আজন্মই হতাশা। বায়ু, সোলার ও জেনারেটর সিষ্টেম সবই ফাঁকিযুকি ও সরকারী অর্থ লোপাটের ফাঁদ। বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), বে-সরকারী দু’টি কোম্পানী প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস্ (বায়ুবিদ্যুত) লিমিটেড ও গ্রীণ হাউজিং এন্ড এনার্জি (মিনিগ্রীড পাওয়ার) লিমিটেড গত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুত সরবরাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যার সুবিধা সে-ই নিলো। তাদের প্রতারণাকে কেন্দ্র করে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে দ্বীপজুড়ে। বিগত ২০০৬ সনে উপজেলায় বায়ু বিদ্যুত স্থাপন হলেও পিডিবির চরম অসহযোগীতার কারণে আলোরমুখ দেখছেনা বলে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন। সমন্বয় ছাড়া নি¤œমানের মালামাল ব্যবহার করায় বায়ু বিদ্যুতের নিশ্চয়তা নিতে পারছেনা বলে জানিয়েছেন পিডিবি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান। আবারো ২০০ কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন একটি জেনারেটর স্থাপনের কথা জানান তিনি। সবক’টি বিদ্যুত কেন্দ্রে সরেজমিনে গেলে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি।
৫০টি টারবাইন, ১০টি ইনভেটরের সাহায্যে দেড় হাজার কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন উইং ব্যাটারী চালিত বায়ু বিদ্যুত প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড ও ১শ’ কিলোওয়াট মিনিগ্রীড পাওয়ার ষ্টেশন সোলার চালিত গ্রীণ হাউজিং এন্ড এনার্জি লিমিটেড বিদ্যুতের কাজ করছে। বিদ্যুত খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও অনিয়ম, অব্যবস্থপনা ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের সুফল পাচ্ছেনা কুতুবদিয়ার পৌনে দু’লাখ মানুষ। শুধু বিদ্যুত সমস্যার কারণে যুগের পর যুগ অন্ধকারে থাকায় উন্নয়নে মারাত্মক পিছিয়ে রয়েছে সম্ভাবনাময় দ্বীপটি। বায়ু, সোলার ও জেনারেটর সিষ্টেম ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘাঁ’ হয়ে জাতীয় গ্রীডলাইনের বিদ্যুত সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে দ্বীপবাসীকে।

Wednesday, November 26, 2014

ইভটিজিং যৌতুকপ্রথা বাল্যবিবাহ্ ও নারী নির্যাতন বন্ধের আহবান -কুতুবদিয়ায় নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ দিবসের সভা অনুষ্টিত by হাছান কুতুবী

নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধসহ তাদের অধিকার প্রতিষ্টায় সমাজের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল হতে হবে। রাষ্ট্রের সকল সুযোগ সুবিধায় তাদেরকে সমহারে অধিকার দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার বৈষম্য কুরআন-হাদিসসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন বলে বিবেচিত হবে। ইভটিজিং, যৌতুকপ্রথা, বাল্যবিবাহ্ ও নারী নির্যাতন বন্ধে পুলিশ প্রশাসনসহ সর্বস্তরের নাগরিককে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশ্ব নারী দের সহিংসতা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালীত্তোর আলোচনা সভায় কুতুবদিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ শাহাব উদ্দিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কুতুবদিয়া থানার আয়োজনে বুধবার সকাল ১১টায় এক বর্নাঢ্য র‌্যালী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ শেষে থানা কম্পাউন্ডে ওসি মুহাম্মদ আলতাফ হোছাইনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এতে উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা ডা.শাহাবুদ্দিন, প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল হুসেন, সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, নির্বাহী সদস্য আরিফুল ইসলাম, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজল দাশ বিশেষ অতিথি ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন থানার উপ-পরিদর্শক এ.বি.এম.কামাল আহমদ, বসু মিত্র, কামরুজ্জামান, গন্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী।

Monday, November 24, 2014

কুতুবদিয়ায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কমিউনিটি ইন্টারেকটিভ সভা অনুষ্টিত by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ায় নিরাপদ মাতৃত্ব, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয় কমিউনিটি ইন্টারেকটিভ সভায় পরিকল্পিত পরিবার গঠন এবং পসূতি মা-শিশুর প্রতি অধিক যত্নশীল হওয়ার জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়। মা-শিশুর মৃত্যু হার কমাতে বিষয়ের তাৎপর্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য উপস্থিত কমিউনিটি লিডারদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানানো হয়। ইউএনএফপির সহযোগীতায় এমসি এইস সার্ভিসেস ইউনিটের আয়োজনে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ এ সভা বাস্তবায়ন করেছে। বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাকের উল্লাহ বিএসসির সভাপতিত্বে পরিষদ মিলনায়তনে সোমবার অনুষ্টিত সভায় কক্সবার জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা.দীপক তালুকদার প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.শাহাবুদ্দিন ও ইউএনএফপির কক্সবাজার প্রতিনিধি নজমুল হাসান বিশেষ অতিথি ছিলেন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র সভায় স্বাগত বক্তব্য বক্তব্য রাখেন। লেমশীখালী ইউনিয়ন প.প.পরিদর্শক নাজেম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় বড়ঘোপ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ হাছান, কুতুবদিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাছান কুতুবী, কুতুবদিয়া হাই স্কুলের প্রবীণ শিক্ষক আক্কাস উদ্দিন, শিক্ষিকা জিন্নাত আরা ও মাওলানা জাফর আলম এতে বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মাঝে ইউপি মেম্বার নাছির উদ্দিন, আবুল কালাম, আখতার উদ্দিন, রেজাউল করিম, সালাউদ্দিন, ফরিদা জাফর, রোকছানা বেগম ও সেলিনা আখতারসহ প.প.বিভাগের মাঠকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

Friday, November 21, 2014

কক্সবাজার জেলার সেরা চেয়ারম্যানের সম্মাননা অর্জনে কুতুবদিয়ায় দক্ষিণ ধূরুং ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ সংবর্ধিত by জেসমিন আখতার

উপজেলার দক্ষিণ ধূরুং ইউপির সফল চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন আল-আজাদকে গন-সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ব্যক্তিত্ব স্মৃতি পরিষদ কর্তৃক কক্সবাজার জেলার সফল চেয়ারম্যান ও সমাজসেবক হিসেবে শের-ই-বাংলা এ.কে.ফজলুল হক সম্মাননা-২০১৪ লাভ করায় স্বত:স্ফূর্তভাবে এলাকাবাসীর বর্নাঢ্য আয়োজনে তাকে এ বিশাল সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। প্রবীণ আলেমেদ্বীন মাওলানা মোছলেহ্ উদ্দিনের সভাপতিত্বে শুক্রবার ধূরুং হাইস্কুল ময়দানে অনুষ্টিত সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির হায়দার প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্টানে এলাকার সর্বস্তরে মানুষ সংবর্ধিত অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন। রাজাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ ছলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় রাজনীতিক ও সমাজসেবক মুহাম্মদ তাহের, ধূরুং হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোরশেদুল আলম, সতরুদ্দীন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শুক্কুর আলম আজাদ, লেমশীখালী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু ইউসুফ, কুতুবদিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাছান কুতুবী, প্রবীণ শিক্ষক আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান, মাষ্টার ফরিদুল আলম, ধূরুং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরওয়ার আলম, স্থানীয় ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মোতাহের হোছাইন, মাষ্টার জয়নুল আবেদীন, মাষ্টার আবুল হোছাইন, ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণ বিশেষ অতিথি ছিলেন। এতে মাষ্টার নুরুল আবছার কুতুবী, মাদ্রাসা সুপার মাহফুজুর রহমান ও মাষ্টার মোস্তান মাহমুদ বক্তব্য রাখেন। সংবর্ধিত চেয়ারম্যান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার অর্জিত সম্মাননা এলাকাবাসীর প্রতি উৎসর্গ করেন। শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান পরিবেশিত হয়।

Thursday, November 20, 2014

কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডির উপকারভোগী মহিলা বাছাই সম্পন্ন by জেসমিন আখতার

উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদে সবার অংশগ্রহনমূলক এক ব্যতিক্রমধর্মী পদ্ধতিতে দু’দিন ব্যাপী ভিজিডির উপকারভোগী গরীব, দু:স্থ ও অসহায় মহিলা নির্বাচন মঙ্গলবার সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে পরিষদের চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা মুহাম্মদ আজমগীর মাতবরের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এক সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম.নুরুল বশর চৌধূরী প্রধান অতিথি ছিলেন। এতে ইউএনও মমিনুর রশীদ, ওসি আলতাফ হোছাইন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাছান কুতুবী, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শুভ্রাত দাশ, সাবেক ইউপি সচিব আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলামসহ এলাকার গন্যমান্যরা বিশেষ অতিথি ছিলেন। বিডিপিসির উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ আহাদ আলী মৃধা জুয়েল’র সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবুল কাশেম, প্রধান শিক্ষক জাফর আলম, জয়নাল আবেদীন, মহিলা অধিদপ্তরের জাকির হোছাইন ও পরিষদের সদস্যগণ এতে বক্তব্য রাখেন। এ কার্যক্রমটি সার্ভিস ইম্প্রুভমেন্ট থ্রো কালেক্টিভ রেসপন্সিবিলিলিটি (শিকড়) নামক প্রকল্পের অধীনে মানুষের জন্য ফাইন্ডেশনের সহযোগীতায় এবং বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার (বিডিপিসি) বাস্তবায়ন করছে। সীমিত যে কোন সরকারী উন্নয়ন প্রকল্প ও বরাদ্ধ এভাবে বাস্তবায়ন হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের বদনাম থাকবেনা বলে প্রধান অতিথিসহ বক্তারা মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য বাছাইকৃত ১৬৫ জন দু:স্থ মহিলা প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে দু’বছর পর্যন্ত খাদ্যশষ্য পাবে।

Sunday, November 16, 2014

কুতুবদিয়ায় বায়তুশ শরফের চক্ষুক্যাম্প উদ্বোধন করলেন এমপি রফিক by হাছান কুতুবী

ধর্মীয় ও আর্ত মানবতার সেবায় বায়তুশ শরফের প্রতিষ্টাতা হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (রহ:) ও পৃষ্টপোষক বাহরুল উলুম মাওলানা কুতুব উদ্দিন (মা.জি.আ.) জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন। শনিবার কুতুবদিয়ায় বায়তুশ শরফের চক্ষু চিকিৎসা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে কুতুবদিয়া-মহেশখালীর সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এ কথা বলেন। বায়তুশ শরফ মসজিদের উন্নয়নকাজে সহযোগীতার আশ্বাস দেন এমপি। এস.এম.কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বায়তুশ শরফ প্রাঙ্গনে অনুষ্টিত সভায় জেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধূরী প্রধান অতিথি ছিলেন। অন্যান্যদের মাঝে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আ.লীগের প্রভাবশালী নেতা এড.ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী, ইউএনও মমিনুর রশীদ, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ কুতুবী, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ ছাফা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার সেলিম চৌধূরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আওরঙ্গজেব মাতবর, মাহবুব আলম মাতবর, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাছান কুতুবী, কুতুবদিয়া বায়তুশ শরফের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হক, আ.লীগ নেতা মুসলিম খাঁনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এতে আবু তৈয়ব ও আলহাজ্ব ডা.দিদারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। পরে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে বিকালে কুতুবদিয়া ত্যাগ করেন এমপি।

Friday, November 7, 2014

কুতুবদিয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম.নুরুল বশর চৌধূরী বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে ৫হাজার করে ১০ পরিবারকে ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান জালাল আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন হায়দার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজদৌল্লাহ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, সাংবাদিক আহমদ কবির, মেম্বার নুরুন্ নবী, মেম্বার ফারুখসহ গন্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা সদর থেকে ১৬ কি.মি. দূর্ঘম এলাকা উত্তর ধূরুংয়ের জহিজ্যার পাড়ায় গত ৩ নবেম্বর গভীর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১ বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে প্রায় দেড়কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মাওলানা জাকের হোছাইন, আখতার হোছাইন, সাবেক ইউপি মেম্বার নুর মুহাম্মদ, মুহাম্মদ রিদোয়ান, মাওলানা নুরুল আলম, মাষ্টার নুরুল আমিন, রমিজ আহমদ, নাছির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, আব্বাছ উদ্দিন ও রিনা আখতার।

Tuesday, November 4, 2014

উত্তর ধূরুংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১ ঘর ভস্মিভূত- ক্ষতি দেড় কোটি by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১ বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলা সদর থেকে ১৬ কি.মি. দূর্ঘম এলাকা উত্তর ধূরুংয়ের জহিজ্যার পাড়া মিয়া মাতবরের ফজুবাপের বাড়ীতে সোমবার রাত দেড়টায় সংঘটিত অগ্নিকান্ডে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র, জীবন্ত ছাগল, হাঁস-মুরগী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মাওলানা জাকের হোছাইন, আখতার হোছাইন, সাবেক ইউপি মেম্বার নুর মুহাম্মদ, মুহাম্মদ রিদোয়ান, মাওলানা নুরুল আলম, মাষ্টার নুরুল আমিন, রমিজ আহমদ, নাছির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, আব্বাছ উদ্দিন ও রিনা আখতার।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাঁশের বেড়ায় টিনসেট এক বিশাল বাড়ীতে প্রথম ৬ পরিবার ও অপর টিনসেট কাঁচাবাড়ীতে ৫ পরিবার বসবাস করেন। আগুন লাগার ধরণ থেকে কেবা কারা শত্রুতাবসত এ ধব্বংশাত্বক কাজটি করেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। বহু টাকার ফিশিংবোটের জাল, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার পুড়ে যাওয়ায় নির্বাক দেখা গেছে জাকের ও তার ভাই আখতারকে। ইউএনও মমিনুর রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন হায়দার, কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধূরী, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজদৌল্লাহ, ফিরোজ খাঁন চৌধূরী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, আ.লীগ ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করেন বলে স্থানিয় মেম্বার নুরুন্ নবী জানিয়েছেন।

উত্তর ধূরুংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১ ঘর ভস্মিভূত : ক্ষতি দেড় কোটি by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১ বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলা সদর থেকে ১৬ কি.মি. দূর্ঘম এলাকা উত্তর ধূরুংয়ের জহিজ্যার পাড়া মিয়া মাতবরের ফজুবাপের বাড়ীতে সোমবার রাত দেড়টায় সংঘটিত অগ্নিকান্ডে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র, জীবন্ত ছাগল, হাঁস-মুরগী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মাওলানা জাকের হোছাইন, আখতার হোছাইন, সাবেক ইউপি মেম্বার নুর মুহাম্মদ, মুহাম্মদ রিদোয়ান, মাওলানা নুরুল আলম, মাষ্টার নুরুল আমিন, রমিজ আহমদ, নাছির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, আব্বাছ উদ্দিন ও রিনা আখতার।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাঁশের বেড়ায় টিনসেট এক বিশাল বাড়ীতে প্রথম ৬ পরিবার ও অপর টিনসেট কাঁচাবাড়ীতে ৫ পরিবার বসবাস করেন। আগুন লাগার ধরণ থেকে কেবা কারা শত্রুতাবসত এ ধব্বংশাত্বক কাজটি করেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। বহু টাকার ফিশিংবোটের জাল, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার পুড়ে যাওয়ায় নির্বাক দেখা গেছে জাকের ও তার ভাই আখতারকে। ইউএনও মমিনুর রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন হায়দার, কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধূরী, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজদৌল্লাহ, ফিরোজ খাঁন চৌধূরী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, আ.লীগ ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করেন বলে স্থানিয় মেম্বার নুরুন্ নবী জানিয়েছেন।

Saturday, November 1, 2014

স্থায়ি প্রতিরক্ষাবাঁধ নির্মাণ অনিশ্চিত! অস্তিত্বের সংকটে দ্বীপ-কুতুবদিয়া by হাছান কুতুবী

কুতুবদিয়ার চারিদিকে যে ভাবে ভাঙছে সে অনুপাতে উদ্যোগ নেই প্রতিরক্ষাবাঁধ নির্মাণের। বেড়িবাঁধ নির্মাণে পাউবো, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয় না থাকায় বিচ্ছিন্নভাবে প্রতি বছর প্রাপ্ত বরাদ্ধও অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে লোপাট হয়ে যায় সিংহভাগ। ফলে বছরকে বছর দ্বীপ-রক্ষাবাঁধের বৃহৎ অংশ খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ অবস্থায় ‘ড্যামিজ পোল্ডার নামে ৫৪ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব (ডিপিপি)’ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কাজের পিক আওয়ার অতিবাহিত হলেও মন্ত্রণালয় ও একনেক এখনো পর্যন্ত তা অনুমোদন না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত চলতি শুস্ক মৌসুমে স্থায়ি প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জরুরীভাবে বরাদ্ধ দেয়া না হলে দেশের সম্ভাবনাময় কক্সবাজারের দ্বীপ-উপজেলা কুতুবদিয়ার অস্তিত্ব চরম হুমকির মূখে পড়তে পারে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিবেশ বিজ্ঞানী কুতুবদিয়ার চার কৃতি সন্তান সরকারের সাবেক সচিব আ.ম.ম.নাসির উদ্দীন, নিউজার্সীর মন্মাউথ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোস্যাল সাইন্সের প্রফেসর ও সহযোগী ডিন ড.গোলাম মুহাম্মদ মাতবর, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি এন্ড এনভায়ারমেন্ট সাইন্সের প্রফেসর ড.কামাল হোসাইন এবং জাপানের ওইতা বিশ্ববিদ্যলয়ের তরুণ গবেষক ড. মুহাম্মদ শাহজাহান কুতুবীসহ আরো অনেকে। কুতুবদিয়ায় বর্ষার আগে চাষাবাদ ও জনবসতি রক্ষায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আপতকালিন জরুরী মাটির বাঁধ এবং শুস্ক মৌসুমে স্থায়ি বাঁধের কাজ করতো পাউবো। কিন্তু গেল বর্ষায় কোন কাজ না হওয়ায় প্রতিরক্ষা বাঁধের বিশাল খোলা অংশ দিয়ে নিয়মিত সামুদ্রিক নুনা জোয়ারের পানি ওঠা-নামা করায় উত্তর ধূরুংসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় করা যায়নি চাষাবাদ। বসতঘর হারায় কয়েক হাজার মানুষ, বিধ্বস্ত হয় রাস্তা-ঘাট ও লবণ পানিতে ভর্তি হয়ে আছে সমস্ত পুকুর-জলাশয়। ওসব এলাকায় বর্তমানে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি তীব্র সমস্যা দেখা দিয়েছে পানীয় জলের।
৪০ বর্গ কি.মি. দ্বীপরক্ষা বাঁধের মধ্যে পাউবো কর্তৃপক্ষ মাত্র ৮কি.মি. অতিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করলেও সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, উত্তর ধূরুং, দক্ষিণ ধূরুং, কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ ও আলী আকবরডেইল এলাকার পশ্চিমে জোয়ার ঠেকানোর মতো বাঁধ নেই এবং দ্বীপের পূর্ব পাশের পুরো এলাকা রয়েছে অরক্ষিত। বেড়িবাঁধ নির্ভর ওসব এলাকার মানুষের নিত্য যাতায়াতে চলছে চরম দূর্ভোগ। এ ছাড়া চর ধূরুং ও কাইছার পাড়া এলাকার প্রায় ৫কি.মি. সম্পূর্ণ ভাঙা অংশে সিসিব্লক দ্বারা স্থায়ি বাঁধ নির্মাণ করা না হলে খুদিয়ারটেকের মতো গোটা উত্তর ধূরুংও সমুদ্র গর্ভে বিলীন হবার আশঙ্কা করছে উন্নয়ন বিশ্লেষক মহল। জলবায়ুর প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও পাউবো কর্তৃপক্ষের মান্দাতা আমলের ডিজাইনে করা বাঁধে বহু সরকারি অর্থ ব্যয় হলেও ঠেকানো যাচ্ছেনা ভয়াবহ ভাঙন। উন্নয়ন গবেষকরা জানিয়েছেন, সমোপযোগি ডিজাইনে দ্বীপের চারিদিকে মাটির বাঁধের সাথে সিসিব্লকসহ ভিতরে বাইরে দু’স্তরের সবুজ বনায়ন সৃজন করলে একদিকে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব অপরদিকে যানবাহন চলাচলের সুবিধা হলে কুতুবদিয়া হতে পারে দেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট।
আলীআকবর ডেইল বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পের দক্ষিণ পয়েন্টে গত ১১-১২ অর্থ বছরের ১৬ কোটি টাকার ‘প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ ৩-এ- ১১শ’ মিটার সিসিব্লক দ্বারা প্রতিরক্ষাবাঁধের জন্য প্রায় ৫০ হাজার ব্লক তৈরী করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, বিশ্ব ব্যাঙ্কের কন্সাল্টেন্ট ও ঠিকাদারি সংস্থা মেসার্স আতাউর রহমানের (প্রো.আতিক উদ্দিন চৌধূরী ও রেজাউল করিম) রশিটানাটানির কারণে বাতিল হয়ে যায় কাজের চুক্তিপত্র। ওই ঠিকাদারের তৈরীকরা ব্লকগুলো বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিগত চারবছর ধরে ওই খোলা পয়েন্টে নিয়মিত জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়ে তাবালেরচর ও আনিচের ডেইলের প্রায় ১২হাজার হেক্টর ফসলী জমি পরিত্যক্ত হয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে ৪০ হাজার মানুষ। পুন: টেন্ডারে ওই প্যাকেজটি কক্সবাজার উন্নয়ন ইন্টারন্যশনাল পেলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় কাজ শুরু করতে পারেনি। জটিলতা কেটে ওঠলে আগামী নবেম্বরের শেষে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারী সংস্থাটির লীড পার্টনার আতিকুল ইসলাম সিআইপি। কাইছার পাড়া এলাকায় একই ঠিকাদারের অধীনে ওয়ামিপের আওতায় ৭১ নম্বর পোল্ডারের প্যাকেজ নম্বর-৫-এ-গত ১২-১৩ অর্থ সনের ৮.৭১৫ কি.মি. মাটির বাঁধ ও ৭৫০ মিটার সিসিব্লক দ্বারা প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ যথা সময়ে সম্পন্ন না করায় গেল বর্ষায় গোটা উত্তর ধুরুংবাসী সারা বর্ষা নুনা পানিতে হাবু-ডুবুর শিকার হতে হয়েছে বলে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ অভিযোগ করেছেন।
এদিকে বর্ষা শেষে টেন্ডার ছাড়াই ইমার্জেন্সী ওয়ার্কের নামে ৬ প্যাকেজে ৫০ লাখ টাকার মাটির কাজ স্থানীয় আ.লীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভাগ-ভাটোয়ারা করে নিয়েছে বলে খোদ পাউবো’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী এ.টি.এম. মাসুদুর রাব্বী স্বীকার করেন। নামমাত্র কাজ দেখিয়ে তারা সমুদয় টাকা হরিলুটের পায়তারা করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে। দ্বীপবাসীর বাঁচা-মরার প্রশ্নে স্থায়ি প্রতিরক্ষাবাঁধ নির্মাণে সরকারের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে জানিয়েছেন কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আ.স.ম.শাহরিয়ার চৌধূরী। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়া গেলে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন পাউবো কক্সবাজার জেলার নির্বাহি প্রকৌশলী শফিকুল হক।